হাথরস মামলায় যোগীর পুলিশ অত্যন্ত সন্দেহজনক আচরণ করেছে। দেহটিকে ডিজেল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার পরে বলা হয়েছিল, হিংসা এড়াতে নাকি ওই কাজ করা হয়েছে। এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আর অভিযুক্তদের আড়াল করে, গোটা বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার প্রবলভাবে সক্রিয়। হাথরসের গণধর্ষণকাণ্ড এবং হত্যা নিয়ে মেধা পাটকরের নেতৃত্বাধীন তথ্যসন্ধানকারী দল তাদের রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে। পাশাপাশি, সিবিআইয়েরও দাবি, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তদন্তে ফাঁক থেকে গিয়েছিল।
সমাজকর্মী মেধা পাটকর, ম্যাগসাইসাই বিজেতা সন্দীপ পাণ্ডে, তথ্যের অধিকার সংক্রান্ত আন্দোলনকারী মনি মালা-সহ মোট ন’জনের একটি দল সাংবাদিক বৈঠক করে তাদের হাথরস রিপোর্ট পেশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘নির্যাতিতার বাবাকে হাথরসের জেলাশাসক যে ভাবে প্রশ্ন করেছিলেন, তা থেকে স্পষ্ট সরকার এই মামলা ধামাচাপা দিতে মরিয়া। নির্যাতিতার বাবার উত্তর ঠিক ভাবে না শুনে, ওই ঘটনার পরের দিনই তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয় চিকিৎসা এবং তদন্ত নিয়ে সরকারের দাবি তাঁরা যেন মেনে নেন। তবে সমাজকর্মী এবং সংবাদমাধ্যমের সক্রিয়তার কারণে অবশেষে সত্য সামনে আসতে থাকে।’
একইসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সম্পর্কে বিশদে অভিযোগ তোলা হয়েছে এই রিপোর্টে। বলা হয়েছে, ‘এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই যে ওই রাজ্যের পুলিশ অত্যন্ত সন্দেহজনক আচরণ করেছে। যথেষ্ট বিষাক্ত ছিল তাদের গতিবিধি। দেহটিকে ডিজেল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার পরে বলা হয়েছিল, হিংসা এড়াতে নাকি ওই কাজ করা হয়েছে। এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।’ মেধা পাটকর বলেন, ‘যে ভাবে সমস্ত সরকারি কর্মচারী এবং সংগঠন এই মামলায় যুক্ত হয়ে তাকে নিজেদের মত করে সাজিয়েছে তাতে এটা বুঝতে বাকি থাকছে না যে যোগী সরকার অপরাধীকে বাঁচাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’