মন্ত্রীমশাই নাকি ঘুমোচ্ছিলেন। কেউ চুপটি করে তাঁর ফোনটি নিয়ে ওই কুকম্মটি করে দিয়ে পালিয়েছে। তিনি নিজে কিছুই করেননি। ফোন থেকে পর্ন ভিডিও শেয়ার হওয়ার পর এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি শাসিত গোয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রকান্ত কাভলেকর।
সম্প্রতি গোয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী সমাজসেবীদের এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। উপমুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো ভিডিও। নিশ্চয়ই কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে ভেবে ভিডিওটি দেখতে গিয়েই থ বনে যান প্রাপকরা। দেখা যায় সেটি আসলে একটি পর্ন ফিল্মের ক্লিপ। তাই নিয়েই এখন সরগরম গোয়ার রাজনীতি। উপমুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণকে মহিলাদের অপমান হিসেবে বর্ণনা শুরু করেছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি নামের একটি রাজনৈতিক দল উপমুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রকান্ত কাভলেকরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তাঁদের দাবি, পর্ন ভিডিও শেয়ার করে আসলে নিজের মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন মন্ত্রীমশাই। তিনি আসলেই মেয়েদের ‘পণ্য’ ভাবেন। কাভলেকরকে কোণঠাসা করতে থানায় এফআইআর দায়ের করার হুমকি দিয়েছে কংগ্রেসও।
বিপদ বুঝে নিজের স্বপক্ষে একাধিক ‘যুক্তিহীন’ যুক্তি খাড়া করেছেন গোয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী। চন্দ্রকান্ত কাভলেকর বলছেন, ‘আমাকে বদনাম করার উদ্দেশ্যেই কেউ আমার ফোন থেকে এসব করেছে। আমি তো অনেক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আছি। যদি আমারই পাঠানোর হত, তাহলে তো সব গ্রুপেই পাঠাতাম ওই ধরনের ভিডিও।’ এই সাফাই দিয়েই থেমে থাকেননি। ফোন হ্যাক হয়ে গিয়েছিল বলেও দাবি করেছেন মন্ত্রী। গোয়া পুলিশে একটি এফআইআরও করেছেন তিনি। যাতে বলা হয়েছে, তাঁর ফোন হ্যাক করে অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও মন্ত্রীর কোনও সাফাই-ই বিরোধীদের ঠিক যুক্তিগ্রাহ্য বলে মনে হচ্ছে না।