তিনি বরাবর বলে গিয়েছেন, কোভিড নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। কোয়ারেন্টাইন নিয়েও বিরোধিতা করেছেন। হোয়াইট হাউসেও প্রায় সেই সুরে বিবৃতি দিয়ে গেছে। কিন্তু সরকারি কর্মী হয়েও তাঁর এসব দাবিদাওয়া, কোভিড নীতির দিকে বারবার আঙুল তুলেছেন এক জনই। তিনি তিনি আমেরিকার শীর্ষ সরকারি বিজ্ঞানী এবং কোভিড বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফোসি।
ট্রাম্প ৭৯ বছরের ফোসিকে তোপ দেগে বললেন, ‘যেন ৫০০ বছর ধরে তিনি এখানে রয়ে গেছেন। ওঁর কথা শুনলে দেশে সাত–আট লক্ষ মানুষ মারা যেতেন।’ ট্রাম্পের এই আক্রমণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তাঁর দল রিপাবলিকানেরই সেনেটর ডা. লামান আলেকজান্ডার। তাঁর কথায়, ‘ডা. ফোসি আমাদের দেশের সবথেকে বিশিষ্ট সরকারি কর্মী। রোনাল্ড রেগানের থেকে ছ’ জন প্রেসিডেন্টের আমলে কাজ করেছেন। দেশবাসী তাঁর কথা শুনলে এত জন কোভিড আক্রান্ত হতেন না।’
হোয়াইট হাউসের কোভিড সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের সদস্য ফোসি। বারবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন। দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন। এবার নিজের প্রচারকারী দলের সামনে সেই ফোসিকেই ‘ইডিয়ট’ বললেন ট্রাম্প। সেখানে উপস্থিত ছিল সংবাদ মাধ্যমও। ট্রাম্প বললেন, মানুষ আসলে এই করোনা নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।
ট্রাম্পের কথায়, ‘মানুষ বলছেন, যা হোক, এবার আমাদের একা ছাড়ো। ওঁরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। এই ফোসি আর সব ইডিয়টদের কথা শুনে ওঁরা ক্লান্ত।’ আমেরিকায় করোনায় মারা গেছেন দু’ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ। এই কারণে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন ট্রাম্প। বিপক্ষের কাছে সমালোচিত হয়েছে তাঁর কোভিড নীতি। এবার সেই কারণে ফোসিকেই দোষী ঠাওরালেন