মোট আক্রান্তের নিরিখে ব্রাজিলকে পিছনে ফেলে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় এখন দ্বিতীয় স্থানে ভারত। তবে গত কয়েক দিনে ধরেই দেশে দৈনিক সংক্রমণ কমছে। তেমনই গত তিন দিন দৈনিক মৃত্যুও হচ্ছে হাজারের কম। সংক্রমণের হারও ৬-৭ শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৩ হাজার ২৭২ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। যার জেরে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৬৯ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪২৩ জন। পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৬.২৯ শতাংশ।
শুরু থেকেই দেশে করোনা আক্রান্তের তালিকার শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এখনও অবধি ১৫ লক্ষ ৬ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে সংখ্যাটা ৭ লক্ষ ৪৪ হাজার। কর্ণাটকে ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ও তামিলনাড়ুতে ৬ লক্ষ ৪৬ হাজার জন এখনও অবধি করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে সংখ্যাটা চার লক্ষ ছাড়িয়েছে। রাজধানী দিল্লীতে মোট আক্রান্ত তিন লক্ষ পেরিয়েছে। কেরালা, উড়িষ্যা ও তেলেঙ্গানাতে ২ লক্ষ পার করেছে মোট আক্রান্ত। বিহার, আসাম, রাজস্থান, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, ছত্রিশগঢ়, পাঞ্জাবে মোট আক্রান্ত এক লক্ষের বেশি।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই দেশে এক লক্ষের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯২৬ মারা গিয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট ১ লক্ষ ৭ হাজার ৪১৬ জন প্রাণ হারালেন। এর মধ্যে সব থেকে বেশি লোক মারা গিয়েছেন মহারাষ্ট্রে। তামিলনাড়ুর মৃত্যু ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। কর্ণাটকেও তা সাড়ে ৯ হাজার। অন্ধ্রপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশেও ৬ হাজার ছাড়িয়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। দিল্লীতে সংখ্যাটা সাড়ে ৫ হাজারের আশপাশে।
যদিও দেশে কোভিড আক্রান্তদের সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যানটা শুরু থেকেই বেশ স্বস্তিদায়ক। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৫৯ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮২২ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশের মোট আক্রান্তের ৮৫ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৮২ হাজার ৭৫৩ জন। গত কয়েক দিনে নতুন আক্রান্তের থেকে সুস্থ বেশি হওয়ায় কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। কমতে কমতে তা এখন ৮ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৮৫।