সপ্তাহ দেড়েক আগেই দিল্লীর সফদর জং হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে চার উচ্চবর্ণের ব্যক্তির হাতে গণধর্ষণের শিকার হওয়া হাথরসের দলিত মহিলা। যা নিয়ে এখনও তোলপাড় গোটা দেশ। তবে তাতেও থেমে নেই দেশে ধর্ষণের ঘটনা। এবার যেমন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতে সামনে এল এক লজ্জাজনক ঘটনার কথা। গুজরাতের নওসারী জেলায় তিন তুতো দাদার গণধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বছর বারোর এক কিশোরী। বিগত পাঁচ মাস ধরে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছে ধর্ষিতা। কিশোরী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে, সম্প্রতি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখনই এই ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসে।
কিশোরীর বাবা একজন খেতমজুর। জানা যায়, পাঁচ মাস আগে তুতো দাদাদের একজন প্রথম ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। এর পর সে আরও দুই ভাইকে ঘটনার কথা জানালে, তারাও ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। কিশোরী যাতে মুখ বন্ধ রাখে, তার জন্য হুমকিও দেয় অভিযুক্তরা। এর পর বিগত পাঁচ মাস ধরে নানা সময়ে একাধিকবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বাড়িতে অভিভাবকেরা কেউ না থাকলে, সেই সুযোগে যৌন নিগ্রহ করত তুতো দাদারা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা প্রত্যেকে নাবালক। বয়স ১৮ বছরের নীচে।
দিন কয়েক আগে মেয়েটির পেটে ব্যথা শুরু হলে, মা তাকে নিয়ে হাসপাতালে যান। পরীক্ষা করার পর ডাক্তাররা জানান, কিশোরী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। চিকিত্সার জন্য বুধবার (৭ অক্টোবর) রাতে অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকাকে অন্য হাসপাতালে শিফট করা হয়। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার বয়ান নিয়েছে পুলিশ। মেয়েটির মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেছে। পুলিশ জানায়, কিশোরীর সম্পর্কিত দাদা তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে তারা ফেরার। খুব শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে। অভিযুক্তরা নাবালক হওয়ায় পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এদিকে, উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডায় তেরোর এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতরা এখন পুলিশ হেফাজতে। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষকরা কিশোরীর প্রতিবেশী। গ্রেটার নয়ডার দাদরিতে বাড়ি। গৌতম বুদ্ধ নগরের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (নারী সুরক্ষা) বৃন্দা শুক্লা জানান, মঙ্গলবার ধর্ষণের শিকার হয় তেরোর কিশোরী। তার মা বৃহস্পতিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরেই এফআইআর নেওয়া হয়। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ফোন করে ওই কিশোরীকে বাড়িতে ডেকেছিল এক অভিযুক্ত। পরিচিত হওয়ায় সে গিয়েছিল। সেখানেই তাকে তিন জন মিলে ধর্ষণ করে।