প্রথম ম্যাচে হারের ধাক্কা কাটিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। পর পর দু’টি ম্যাচ জিতে এক ঝটকায় পয়েন্ট তালিকায় তারা অনেকটা উপরে উঠে এসেছে । শনিবার শারজায় দিল্লী ক্যাপিটালসকে হারাতে পারলেই জয়ের হ্যাট্রিক করে ফেলবে নাইটরা। তবে কাজটা সহজ হবে না। কারণ, ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া দিল্লীও। গত আইপিএলে তারা দু’বারই হারিয়েছিল কলকাতাকে।
কেকেআরের ব্যাটসম্যানদের বিপাকে ফেলার মতো বোলিং লাইন-আপ রয়েছে দিল্লীর। নতুন বলে কাগিসো রাবাডার উপরই ভরসা রাখা উচিত। তবে ইশান্ত শর্মাকে খেলানোর কোনও যুক্তি নেই। তুলনায় অ্যানরিক নর্টজে দারুণ সার্ভিস দিচ্ছেন। বর্ষীয়ান অমিত মিশ্র এখনও স্পিনের ভেলকি দেখাচ্ছেন আইপিএলের মঞ্চে। সঙ্গে রয়েছেন অক্ষর প্যাটেল। মধ্যমানের হলেও ব্যাটে-বলে তিনি অলরাউন্ড পারফরম্যান্স মেলে ধরার চেষ্টা করছেন।
দিল্লী গত ম্যাচে সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে হেরে কিছুটা চাপে। ওপেনার পৃথ্বী সাউয়ের ব্যাটে ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট। শিখর ধাওয়ানও নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ। ফলে চাপে পড়ে যাচ্ছেন ক্যাপ্টেন শ্রেয়াস আয়ার। অনেক সময় সেই চাপ নিয়ে ব্যাটিংয়ে সেরাটা দিতে পারছেন না তিনি। ঋষভ পন্থ টি-২০’র আদর্শ ক্রিকেটার। কিন্তু খোলস ছেড়ে বেরোতে তাঁরও সময় লাগছে। মিডল অর্ডারে দলকে নির্ভরতা দিতে ব্যর্থ শিমরন হেটমায়ার। এই ম্যাচে তিনি বাদ পড়তে পারেন।
গত ম্যাচে কেকেআরের জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন শুভমান গিল। দুরন্ত ছন্দে আছেন পাঞ্জাবের তরুণ ব্যাটসম্যানটি। ওপেনার হিসেবে দলকে নির্ভরতা জোগাচ্ছেন তিনি। দিল্লির বিরুদ্ধে তাঁর উপর নজর থাকবেই। তবে সুনীল নারিনকে ওপেনিং স্লট থেকে সরিয়ে পরের দিকে নামানো উচিত। পাওয়ার প্লে’তে দ্রুত গতিতে রান তুলতে তিনি ব্যর্থ। এক নয়, একাধিক ম্যাচে। সেক্ষেত্রে দীনেশ কার্তিকও ওপেন করতে পারেন। তাছাড়া রাহুল ত্রিপাঠির কথাও ভাবতে পারে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট। নীতীশ রানার জায়গায় ত্রিপাঠি খেললে, নারিনের পরিবর্ত হিসেবে টম ব্যান্টনকে পরখ করে নেওয়ার সুযোগ থাকবে।
ব্যাটিং অর্ডারে বেশ কিছু পরিবর্তন প্রত্যাশিত। বিশেষ করে তিন নম্বরে নামানো উচিত ইয়ন মরগ্যানকে। ইংল্যান্ডের এই তারকাটি দু’টি ম্যাচেই রান পেয়েছেন। আরও বেশি সময় ব্যাট করার সুযোগ পেলে তিনি বড় ইনিংস উপহার দিতে পারেন। আন্দ্রে রাসেল যে কোনও পজিশনে খেলার যোগ্য। গত ম্যাচে তাঁর ব্যাটে ঝড় উঠলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কিন্তু রাসেল এমন একজন ক্রিকেটার, নিজের দিনে একাই ম্যাচ জেতাতে সক্ষম।