জেতার জন্য কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের দরকার ছিল ১৯২ রান। কিন্তু, ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ভোগাল তাদের। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা আট উইকেট হারিয়ে তুলল ১৪৩। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স জিতল ৪৮ রানে। এবং জয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানে পৌঁছে গেল রোহিত শর্মার দল।
টসে জিতে আগে মুম্বইকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কিংস ইলেভেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। উইকেট মোটেও ব্যাটিং সহায়ক ছিল না। প্রথম ওভারেই কটরেলের বলে বোল্ড হয়ে শূন্য হাতে মাঠ ছাড়েন কুইন্টন ডি’কক। শুরুতে একটু আড়ষ্টতা ছিল রোহিতের মধ্যেও। তা কাটিয়ে উঠতে তাঁর বেশি সময় লাগেনি। সূর্যকুমার যাদবকে সঙ্গে নিয়ে বড় পার্টনারশিপ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু সূর্য (১০) হঠাৎ রান আউট হয়ে যান। তরুণ ঈশান কিষাণের (২৮) সঙ্গে ৬২ রান যোগ করেন রোহিত। সেটাই মূলত মুম্বইকে বড় স্কোর গড়ার পথ করে দেয়। শেষ পর্যন্ত সামির বলে ৪৫ বলে ৭০ রান করে আউট হন হিটম্যান। মারেন ৮টি চার ও ৩টি ছয়। আইপিএলে পাঁচ হাজার রানও এদিন পূর্ণ করলেন রোহিত। অধিনায়ক ফিরে যাওয়ার পর কিয়েরন পোলার্ড ও হার্দিক পান্ডিয়া দলকে বড় রানের পথে এগিয়ে নিয়ে যান। পোলার্ড ২০ বলে ৪৭ ও হার্দিক ১১ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৯১ রান।
জবাবে পাঞ্জাবের হয়ে এদিনও আশা জাগিয়েছিলেন ফর্মে থাকা দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল। বিনা উইকেটে ৩৮ রান তোলার পরেই ছন্দপতন। ১৮ বলে ২৫ রান করে যশপ্রীত বুমরাহর বলে বোল্ড হয়ে যান মায়াঙ্ক। তিন নম্বরে নেমে করুণ নায়ারও (০) এদিও হতাশ করলেন। চাপের মুখে নিকোলাস পুরানকে পাশে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন রাহুল। কিন্তু সেট হয়ে গিয়েও দলকে টানতে পারলেন না তিনি। ১৯ বলে ১৭ রান করে রাহুল চাহারের বলে আউট হন রাহুল। ৬০ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর কিছু লড়াই চালিয়েছিলেন পুরান। ২৭ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। কিন্তু তাঁকে সঙ্গে দিতে পারেননি ম্যাক্সওয়েল (১১), নিশামরা (৭)। হারের গণ্ডি থেকে বেরতে পারেনি কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবও।