সংসদের দুই কক্ষে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গে কৃষি বিল আইনে পরিণত হয়েছে। তবে এই বিলকে কেন্দ্র করে কৃষক ও বিরোধীদের মধ্যে আন্দোলন জারি রয়েছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা-সহ দেশের একাধিক জায়গায় জোর কদমে চলছে কৃষক বিক্ষোভ। কোমর বেঁধে রাস্তায় নেমে পড়েছে কংগ্রেসও। নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে আগেই দেশজোড়া আন্দোলন করার কথা ঘোষণা করেছিল দল। ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে এবার তারা শুরু করতে চলেছে ‘কিষাণ যাত্রা’।
প্রসঙ্গত, দেশের কৃষকদের সঙ্গে একাত্মতা গড়ে তুলতে চলতি সপ্তাহেই কিষাণ যাত্রা শুরু করতে চলেছে দেশের বৃহত্তম বিরোধী দল। পাঞ্জাবের সঙ্গরুর থেকে শুরু করে যা শেষ হবে রাজধানী দিল্লীতে পৌঁছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার বিভিন্ন জেলায় পৌঁছবে এই কিষাণ যাত্রা। কংগ্রেসের প্রাক্তন নেতা ও সাংসদ রাহুল গান্ধী জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এই আন্দোলনে যোগ দেবেন এবং পুরোভাগে থাকবেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সঙ্গরুরে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখবেন রাহুল। তারপরই সেখান থেকে শুরু হবে কিষাণ যাত্রা। সেখান থেকে পাটিয়ালার দিকে এগিয়ে চলবে মিছিল।
উল্লেখ্য, প্রথমে ঠিক ছিল, ২ অক্টোবর থেকেই শুরু হবে কিষাণ যাত্রা। কিন্তু সম্ভবত একদিন পিছিয়ে তা ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হবে। জানা গিয়েছে, রাহুল গান্ধী আগামী দু’তিন দিন পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করবেন। রাহুল ঘনিষ্ঠ সূত্র জানাচ্ছে, এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করা এবং মোদী সরকারের ‘কৃষি-বিরোধী’ মুখ সকলের সামনে তুলে ধরা।
প্রসঙ্গত, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব কংগ্রেস। কয়েক দিন আগেই দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী সংবিধানের ২৫৪(২) ধারা ব্যবহার করে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে এই আইন কার্যকর না করার পরামর্শ দিয়েছেন। শুধু কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে এই আইন লাগু না করার সিদ্ধান্ত নিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি কংগ্রেস। দলের একাধিক নেতা ইতিমধ্যেই এই আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং।