ফের আর্থিক জালিয়াতি পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে। এবার ১,২০৩ কোটি টাকা ধার নিয়ে ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ উঠল গুজরাতের এক সংস্থার বিরুদ্ধ। বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঘটনার এই কথা জানায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এর আগে একাধিক আর্থিক জালিয়াতির শিকার হয়েছে এই ব্যাঙ্কটি। ঋণ নিয়ে দেশ ছেড়েছেন একাধিক ব্যবসায়ী।
ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, আমেদাবাদের জোনাল কর্পোরেট শাখা থেকে এই ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছিল। আমেদাবাদের ধুঁকতে থাকা সিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডকে এই অঙ্কের অর্থ ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা এখনও ফেরত পাওয়া যায়নি। বদলে গত ডিসেম্বরে সেই ঋণ ফেরতের ধরণ বদলাতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল সংস্থা। স্বাভাবিকভাবেই তা মঞ্জুর হয়নি।
ব্যাঙ্কের তরফে জারি করা রেগুলেটরিতে জানানো হয়েছে, তাঁরা এই অনাদায়ী ঋণের জন্য ২১৫.২১ কোটি টাকা প্রভিশন রেখেছিল। আরবিআই-এর নিয়ম মোতাবেক, কোনও সংস্থাকে ঋণদানের সময় প্রভিশন রাখা বাধ্যতামূলক। কোন ঋণের জন্য কত টাকা প্রভিশন রাখা হবে, তা সেই ব্যাঙ্ক সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এ নিয়েও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে।
কী এই প্রভিশন? ব্যাঙ্ক কোনও ঋণের পরিবর্তে নিজেদের আয়ের একটা অংশ গচ্ছিত রাখে। যতদিন না ঋণ শোধ হচ্ছে, সেই অর্থ তারা খরচ করতে পারে না। এমনকী, লাভ হিসেবেও দেখানো সম্ভব নয়। ফলে ঋণ অনাদায়ী থাকলে, ব্যাঙ্কের এই অর্থ ব্যবহার হয়। যাতে মূলত ব্যাঙ্কটিরই ক্ষতি হয়। মহামারী ও লকডাউনের জেরে এমনিতেই বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের আর্থিক ব্যবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে অনাদায়ী ঋণের অর্থ ফেরানোর চেষ্টা করছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। সেই সময় এই তথ্যটি সামনে এল।
সিনট্যাক্স ইন্ডাস্ট্রি প্রাইভেট লিমিটেড রাসায়নিক ও পোশাক তৈরির ব্যবসা করে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত এটি সিনট্যাক্স গ্রুপের অংশ ছিল। এই সিনট্যাক্স গ্রুপ মূলক প্লাস্টিকের ট্যাঙ্ক বানানোর জন্য বিখ্যাত। যদিও আপাতত সিনট্যাক্স ইন্ডাস্ট্রি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে এর যোগ নেই।