ঘুরে দাঁড়াল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। পর পর দু’ ম্যাচ হেরে লিগ টেবলের তলানিতে চলে গিয়েছিল তারা। মঙ্গলবার প্রথম জয় পাওয়ায় ছ’ নম্বরে উঠে এলেন ডেভিড ওয়ার্নাররা। সবার শেষে এখন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। এ দিন হেরে যাওয়ায় জয়ের হ্যাটট্রিক হল না দিল্লী ক্যাপিটালসের।আবু ধাবিতে হায়দ্রাবাদের কাছে ১৫ রানে আত্মসমর্পণ করতে হল শ্রেয়স আইয়ারের দলকে।
টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেন দিল্লী ক্যাপিটালসের অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। ওপেনিং জুটিতে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ৭৭ রানের জুটি গড়ে তোলেন বেয়ারস্টো। প্রথম ম্যাচেই ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে কেন উইলিয়ামসন ৪১ রান করেন। মূলত এই তিন বিদেশি ব্যাটসম্যানের কাঁধে ভর করে সানরাইজার্স প্রথমে ব্যাট করে চার উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান তোলে। দলের অধিনায়ক যখন হাফ সেঞ্চুরির দিকে এগচ্ছেন তখন পাল্টা প্রত্যাঘাত আনেন অমিত মিশ্র। ৩৭ বছর বয়সি লেগ স্পিনারটি প্রথমে ওয়ার্নার (৪৫) ও পরের ওভারেই মণীশ পাণ্ডেকে (৫) সাজঘরে ফেরান। এরপর কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে জুটিতে ৫২ রান যোগ করেন বেয়ারস্টো। টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সানরাইজার্সের এই ওপেনার। বেয়ারস্টোকে (৫৩) ডাগআউটে ফেরান রাবাডা।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ভুবনেশ্বর কুমার আউট করেন পৃথ্বী শকে (২)। ম্যাচ জিততে হলে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট তুলতেই হতো হায়দ্রাবাদকে। সেই কাজটাই করেন রশিদ খান-ভুবনেশ্বর কুমাররা। রশিদ বল করতেই এসেই ফিরিয়ে দেন শ্রেয়াসকে (২১ বলে ১৭)।অভিজ্ঞ শিখর ধওয়নও (৩৪) রশিদ খানেরই শিকার।
পন্থ ও হেটমায়ার দ্রুত গতিতে রান তুলছিলেন। ১২ বলে চটজলদি ২১ রান করার পরে ভুবির বলে ফেরেন ক্যারিবিয়ান বাঁ হাতি। দিল্লীর ভরসা ছিলেন ঋষভ পন্থ ও স্টোইনিস। পন্থকে (৩২) আউট করে ফের ধাক্কা দেন রশিদ খান। স্টোইনিসকে এলবিডব্লিউ করেন নটরাজন। এর পরে দেওয়াললিখন স্পষ্ট হয়ে যায়। দিল্লী ভক্তরা বুঝে যান এই ম্যাচ বের করা আর সম্ভব হবে না প্রিয় দলের পক্ষে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে দিল্লি করে সাত উইকেটে ১৪৭ রান।