কৃষি বিলের প্রতিবাদে শনিবারই পাঞ্জাবের শিরোমণি অকালি দল এনডিএ ছেড়েছে। তার রেশ কাটার আগেই বিজেপি’র সঙ্গে লোক জনশক্তি পার্টির দ্বন্দ্বের খবর ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সামনেই বিহারে বিধানসভা ভোট। তার আগে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্বও।
আসন নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় ঝাড়খণ্ডে গত বিধানসভা ভোটে এনডিএ-র শরিক হয়েও বিজেপি’র বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিল রামবিলাশ পাসোয়ানের এলজেপি। বিহার ভোটে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে প্রথম থকেই সক্রিয় বিজেপি নেতৃত্ব। জোটে ঐক্যের ছবি তুলে ধরতে গত আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা এক ভার্চুয়াল বৈঠকে ঘোষণা করেছিলেন, ‘বিজেপি, জেডিইউ এবং লোক জনশক্তি পার্টি বিহার বিধানসভা ভোটে জোটবদ্ধ হয়ে লড়বে। জোটের নেতৃত্ব দেবেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।’ কিন্তু আদৌ এই জোট হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আসন রফা নিয়েও এনডিএতে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এবার বিহার ভোটে ২৪৩টির মধ্যে অন্তত ১৪১ আসন দাবি করেছেন চিরাগ পাশোয়ান। বিজেপি এবং জেডিইউ স্বভাবতই যা দিতে রাজি নয়। ২০১৫ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি ১৫৭টি, জেডি(ইউ) ১০১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। অন্যদিকে, এলজেপি প্রার্থী দিয়েছিল মাত্র ৪২টি কেন্দ্রে। কিন্তু এবার তারা প্রায় তিন গুণ বেশি আসন দাবি করায় শিবিরের অন্য দুই শরিক দল বিস্মিত।
সাম্প্রতিক সময়ে শিবসনা, অসম গণ পরিষদ এবং শিরোমণি অকালি দলের মতো দীর্ঘদিনের সঙ্গীকে হারিয়েছে বিজেপি। সেই তালিকায় এলজেপি যুক্ত হলে তা জেপি নাড্ডা-অমিত শাহদের কাছে নিঃসন্দেহে চূড়ান্ত অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়াবে। অন্তত এমনই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।