মাত্র আড়াই সপ্তাহ। এত কম সময়ের মধ্যেই এবার গঙ্গার ভাঙনে সর্বহারা দুর্গতদের জমির পাট্টা দিয়ে নজির গড়ল মালদহ জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি ভাঙন পীড়িতদের মধ্যে ত্রাণ বিলিও করা হয়। গতকাল মোট ৬৪ জনকে ভূমি পাট্টা বিলি করা হয়। দুর্গতদের নিজের বাড়ি যেখানে ছিল তার থেকে প্রায় এক কিলোমিটারের মধ্যেই জমির ব্যবস্থা করা হয়। প্রত্যেককে ১ কাঠা করে জমি দেওয়া হয়। পাট্টা পেয়ে সরকারের কাজে যথেষ্ট খুশি ক্ষতিগ্রস্তরা।
সূত্রের খবর, গতকাল বীরনগর হাই স্কুলে প্রায় ২৫০ জনের হাতে চাল, ডাল, তেল-সহ মাথাপিছু প্রায় ৮০০ টাকার খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। কালিয়াচক-৩ ব্লকের বীরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে আগস্ট মাসের শেষের দিকে শুরু হয় গঙ্গার বিধ্বংসী ভাঙন। একের পর এক বাড়ি তলিয়ে যেতে থাকে। দুর্গতরা আশ্রয় নেন খোলা আকাশের নীচে। ভাঙন দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে এসে রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুর কথা দিয়েছিলেন ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার।
সেই মতো গতকালই পাট্টা বিলির ব্যবস্থা করা হয়। কালিয়াচক-৩ ব্লক প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট ব্লক মিটিং হলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুটি অনুষ্ঠানেই হাজির ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌর মণ্ডল, জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুর, বিডিও গৌতম দত্ত, বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন, ইংরেজবাজার পুরসভার কো-অর্ডিনেটর অম্নান ভাদুড়ি-সহ অন্যরা।
সোমবারের এই সভা থেকেই ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মৌসম বলেন, “ফারাক্কা ব্যারেজের অধীনস্থ জায়গাতে চলছে ভাঙন। অথচ বর্ষার আগে কোনও ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা হয়নি। এখানকার মানুষদের উপেক্ষার পাত্র মনে করছে তারা। স্থায়ী ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে হবে। বিষয়টি সংসদে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। এবার সংসদে বলার মতো সময় পাইনি। এরপর ঠিক তুলে ধরব। আমাদের রাজ্য সরকার দুর্গতদের পাশেই রয়েছে।” এরপর মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এই দুর্গতদের পাট্টা বিলি করা হল এদিন। আরও পাট্টা দেওয়া হবে। তার তালিকা তৈরির কাজ চলছে। সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সবসময় রয়েছে।”