করোনা আতঙ্কের মধ্যেও আশার কথা শোনালেন ভেলোর ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজিস্ট ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য গগনদীপ কাং।তিনি জানালেন, করোনা টিকা কার্যকরী হলে একুশের গোড়াতেই চলে আসবে ভারতের বাজারে। তবে টিকা সার্বিকভাবে প্রয়োগের উপযোগী কিনা সেটা যাচাই করার পরেই টিকা নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গবেষক বলেছেন, ‘ভারতে তিন রকমের কোভিড টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। চূড়ান্ত পর্বের সব রকমের পরীক্ষানিরীক্ষার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জুলাই মাস থেকেই কোভিড ভ্যাকসিন ক্যানডিডেটের সেফটি ট্রায়াল ও ক্লিনিকাল ট্রায়ালের রেজাল্টের উপরে নজর রাখা হচ্ছে, জানিয়েছেন গগনদীপ কাং। তাঁর কথায়, “টিকার ডোজে শরীরে কতটা অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে এবং কী পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ গড়ে উঠছে সেটাই পর্যবেক্ষণের বিষয়। সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অক্টোবরের মধ্যে বড় সংখ্যক মানুষের উপরে টিকার ডোজ যদি কার্যকরী প্রমাণিত হয় তাহলেই এর বিপুল হারে উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে”।
সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও শিশু, গর্ভবতী মহিলা ও রোগীদের শরীরে টিকা রোগ প্রতিরোধ তৈরি করতে পারে না কিনা সেটা যাচাই করার পরেই সার্ভিক ভাবে টিকা প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের শুরুর দিকেই টিকা চলে আসবে দেশে।
দেশে এখন করোনার ভ্যাকসিন দৌড়ে এগিয়ে আছে ভারত বায়োটেক, জাইদাস ক্যাডিলা ও সেরাম ইনস্টিটিউট। এর মধ্যে সেরাম অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় তৈরি তাদের কোভিশিল্ড টিকার তৃতীয় স্তরের ট্রায়াল শুরু করে দিয়েছে। এই পর্বে হাজারের বেশি জনকে টিকার ডোজ দেওয়া হবে।