এখনই জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না রিয়া চক্রবর্তী। আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে তাঁকে। মাদক মামলা সংক্রান্ত বিশেষ আদালত এনডিপিএস আজ তাঁর হেফাজতের মেয়াদ বাড়াক। তাই আপাতত মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলই রিয়ার ঠিকানা।
সুশান্ত মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তে উঠে আসে মাদক যোগ। রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেই বিষয়টি সামনে আসে। এই নিয়ে তদন্ত শুরু করে রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে ৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে এনসিবি। গ্রেফতার করা হয় সুশান্তের দুই কর্মচারীকেও। মাদক অভিযোগ নিয়ে সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর রিয়াকে গ্রেফতার করে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয় রিয়ার। আজ সেই মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায়, নতুন করে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল এনসিবি। তাতেই আদালত এ দিন আরও ১৪ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করে।
সুশান্তের মৃত্যুর আগে কয়েক মাস ধরে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন রিয়া। কিন্তু গত ১৪ জুন বান্দ্রার বাড়ি থেকে সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার পর, রিয়াকেই কাঠগড়ায় তোলে প্রয়াত অভিনেতার পরিবার। রিয়ার নামে মামলা দায়ের করেন সুশান্তের বাবা। রিয়া তাঁর ছেলের টাকা নয়ছয় করেছেন এবং তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।