আপনার যদি করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে এবং শারীরিক অবস্থান অবনতি হতে থাকে, তাহলে আপনি কী করবেন? খুব স্বাভাবিক উত্তর হল কোভিড বেড রয়েছে এমন হাসপাতালে ভর্তি হবেন। কিন্তু আপনার কি প্রশাসনের ওপরতলায় চেনাশোনা আছে? না থাকলে শারীরিক অবস্থা যতই খারাপ হোক, কোভিড আইসিইউ বেড পাওয়ার সম্ভাবনা আপনার ক্ষেত্রে প্রায় নেই বললেই চলে।
দেশজুড়ে সমীক্ষা চালিয়ে নিজেদের রিপোর্টে এমনই দাবি করেছে লোকাল সার্কেল নামক একটি সংস্থা। এই সমীক্ষায় জানানো হয়েছে যে রুটিন পদ্ধতিতে কোভিড আইসিইউ বেড পেয়েছেন মাত্র চার শতাংশ রোগী। আর ওপরতলায় যোগাযোগ থাকার সুবাদে কোভিড আইসিইউ বেড পেয়েছেন ৭৮ শতাংশ রোগী। সরকার এবং বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড আইসিইউ বেড না পাওয়ার কথা জানিয়ে একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকে করোনা রোগীর আত্মীয়-বন্ধুদের। সেই কারণেই এই সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় লোকাল সার্কেল।
এই বিষয়ে দেশের মোট ২১১টি জেলায় ১৭,০০০ মানুষের ওপরে সমীক্ষা চালায় তারা।
সামাজিক যোগাযোগ তাঁদের কোভিড আইসিইউ বেড পেতে কতটা সাহায্য করেছে, সেই প্রশ্ন করা হয় সবাইকে। ৩৮ শতাংশ মানুষ জানান যে ওপরতলায় যোগাযোগ থাকায় সেই সুবাদে তাঁরা কোভিড আইসিইউ বেড পেয়েছেন। ৭ শতাংশ জানান যে বারবার হাসপাতালে যোগাযোগ করে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তবে কোভিড আইসিইউ বেড পেয়েছেন তাঁরা। ৪০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন যে শুধু ওপরতলার যোগাযোগেও কাজ হয়নি, এর পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার এবং পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে তবে কোভিড আইসিইউ বেড পেয়েছেন তাঁরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অথবা সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ দিয়ে বেড পেয়েছে সাত শতাংশ মানুষ। মাত্র চার শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন যে সাধারণ রুটিন নিয়মেই কোভিড আইসিইউ বেড পেয়েছেন তাঁরা। আর কোনও ভাবেই কোভিড আইসিইউ বেড পাননি বলে জানিয়েছেন অবশিষ্ট চার শতাংশ রোগী।