কৃষি বিল নিয়ে রবিবার রাজ্যসভায় তুমুল গণ্ডগোলের ঘটনায় বরখাস্ত করা হল বিরোধী দলের ৮ জন সাংসদকে। তাঁদের মধ্যে আছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং দোলা সেনও।
বরখাস্তের তালিকায় থাকা অন্যান্য সাংসদরা হলেন, আপের সঞ্জয় সিং, কংগ্রেসের রাজীব সতাভ, সিপিআইএম-এর কেকে রাগেশ, কংগ্রেসের সৈয়দ নাসির হুসেন, কংগ্রেসের রিপুন বোরা, ও সিপিআইএম-এর এলামারাম করিম। অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতে তাঁরা আর অংশ নিতে পারবেন না।
রবিবার বিরোধীদের যে সাংসদরা কৃষি বিল নিয়ে রাজ্যসভায় তীব্র বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সোমবার অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদরা। তারই প্রেক্ষিতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বিরোধী সাংসদদের আচরণের তীব্র নিন্দা করে আটজনকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন।
আজ সোমবার অধিবেশন শুরু হওয়ার পরেই এই আট সাংসদকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। তাঁদের অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, স্লোগান দিতে দিতে অধিবেশন কক্ষ ছাড়েন তাঁরা। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন সংসদে উপস্থিত বাকি বিরোধী সাংসদরাও। তারপরে সকাল ১০টা পর্যন্ত সংসদের কাজ মুলতুবি ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, রবিবার রাজ্যসভায় কৃষি বিল পেশ করার পরই বিরোধী সাংসদরা প্রবল বিক্ষোভ শুরু করেন। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। রাজ্যসভায় কংগ্রেস সাংসদ প্রতাপ সিং বাজোয়া স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ‘চাষিদের জন্য মৃত্যু পরোয়ানায় সই করবে না কংগ্রেস।’ এরপরই রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলও। ‘কালা কানুন ওয়াপস লো’ স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল সাংসদরা। প্রবল হই হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। বিলের প্রতিলিপি ছিঁড়ে বিক্ষোভ দেখান ডেরেক। এরপরই স্থগিত হয়ে যায় রাজ্যসভার কাজ।