দেশের করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন। সেই জন্য সাংসদদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। সাংসদদের বেতন এবং ভাতাও ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা আবহে দিল্লীর রাজপথ ঢেলে সাজাতে ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। এই নিয়ে লোকসভায় প্রশ্নের মুখে পড়ল মোদী সরকার। বিরোধীদের প্রশ্ন, সরকারের অগ্রাধিকার কোনটা?’
২০২০-২১ ও ২০২১-২২ – দু’বছরে সাংসদদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা বন্ধ করে সরকারের সাশ্রয় হবে প্রায় ৭,৯০০ কোটি টাকা। বেতন ছাঁটাই করে সাশ্রয় হবে ৫৪ কোটি টাকা। সৌগতর প্রশ্ন, ‘এই রাজপথ, নতুন সংসদ ভবন তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। এটাই কি সরকারের করোনা নিয়ে উদ্বেগের নমুনা? প্রধানমন্ত্রীর জন্য যে ভিভিআইপি বিমান আসছে, তার দাম কত? এ সব সংসদকে জানানো হোক।’ এনসিপি-র সুপ্রিয়া সুলে বলেন, ‘একদিকে, টাকা নেই বলে পেট্রল-ডিজেলে সেস বসিয়ে টাকা তোলা হচ্ছে। আরেক দিকে দিল্লীর রাজপথ সাজাতে টাকা খরচ হচ্ছে। সরকার নতুন দফতর, রাজপথ চায় নাকি হাসপাতাল, ভেন্টিলেটর?’
লোকসভায় সাংসদদের বেতন, ভাতা ছাঁটাইয়ের বিল পাশ করানোর সময় সাংসদরা সকলেই তাঁদের বেতন কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। তৃণমূলের সৌগত রায় বলেন, ‘আমাদের দলের অবস্থান হল, আরও বেতন কমিয়ে দিন। ৩৫ শতাংশ বেতন কমান। কিন্তু সাংসদদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় তো স্থানীয় হাসপাতালের উন্নয়ন হচ্ছিল।’ সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে বিজেপি সাংসদরা কেন মুখ খুলছেন না, তা নিয়েও সৌগত প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদীর কাছে ৩০০-র বেশি সাংসদ রয়েছেন বলে সাংসদদের দাম নেই। যদি বিজেপিতে গণতন্ত্র থাকে তা হলে বিজেপি সাংসদরা এ নিয়ে বলুন।’ সৌগতর সঙ্গে তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা অভিযোগ তোলেন, সরকার গত বছরের সাংসদ তহবিলের টাকাও আটকে রেখেছে।