করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে দেশে। তার মধ্যেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এন্ট্রান্স পরীক্ষা নিয়েছে কেন্দ্র। এক সপ্তাহের মধ্যেই বের করে দেওয়া হয়েছে জয়েন্টের রেজাল্ট। এবার পালা মেডিক্যালের এন্ট্রান্স পরীক্ষার। আজ রবিবার দেশজুড়ে প্রায় ১৬ লাখ পরীক্ষার্থী বসছে এই পরীক্ষায়। অন্যদিকে, এই রাজ্য থেকে নেট দেবেন ৭৭ হাজার ৬১ জন পড়ুয়া। মেডিক্যালে ভর্তির সর্বভারতীয় এই পরীক্ষা গতবারের চেয়ে বাংলায় আরও ১০ হাজার বেশি পড়ুয়া দেবেন। রবিবার দুপুর ২টো থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে বিকেল ৫টায়। তবে ছাত্রছাত্রীদের বেলা এগারোটা থেকে দুপুর দেড়টার মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
করোনা আবহে এবার নেট ও জেইই পরীক্ষা হবে কিনা, তা নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আবেদনও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও বেশ কিছু রাজ্য। তবে রাজ্যের এই আবেদনে সাড়া দেয়নি কেন্দ্র। পরে বাংলা-সহ ৬টি রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। প্রথমে ঠিক ছিল পরীক্ষা হবে ৫ মে। তারপর ঠিক হয় ২৬ জুলাই। নেট নিয়ে সেইসময় ঘোর দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন পড়ুয়ারা। শেষ অবধি সুপ্রিম কোর্ট ছাত্রছাত্রীদের আশ্বস্ত করে জানায়, ১৩ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা নেওয়া হবে।
সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশিকা পেয়েই তৎপর হয় রাজ্যগুলি। করোনা আবহে কীভাবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে পরীক্ষা পরিচালনা করা যায় সেই ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়। ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর জন্য পর্যাপ্ত যানবাহনের ব্যবস্থা থাকছে রবিবার। বিভিন্ন রাজ্যে স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য। নেটের জন্য বঙ্গে ১৮৯টি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। বিভিন্ন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে হবে নেট পরীক্ষা। ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে আজ সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত ১৫ মিনিট অন্তর মেট্রো চলবে। সূত্রের খবর, পড়ুয়াদের হয়রানি ঠেকাতে স্মার্ট কার্ডের সাথে কাগজের টিকিটেরও ব্যবস্থা রাখছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি, পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতেও চরম সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে