অতিমহামারীর সময় ঋণগ্রহীতাদের ইএমআই-এর ভার কি লঘু করা হবে? নাকি ঘোষণা করা হবে লোন মরেটোরিয়াম? অর্থাৎ ঋণশোধ করার জন্য বাড়তি সময় দেওয়া হবে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে এ ব্যাপারে ‘নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত’ নিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বলে, ঋণশোধ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘শেষ সুযোগ’ দেওয়া হল। ঋণের ওপর সুদ মকুব এবং ঋণশোধের সময় বৃদ্ধির আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একগুচ্ছ পিটিশন জমা পড়েছে। সেগুলির ওপরে বৃহস্পতিবার শুনানি হয়।
কেন্দ্রীয় সরকার সর্বোচ্চ আদালতকে জানায়, ঋণগ্রহীতাদের সুবিধা দেওয়ার জন্য ‘শীর্ষ স্তরে’ আলোচনা চলছে। সরকার বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। ঋণগ্রহীতাদের প্রতি সরকারের সহানুভূতি আছে। বিচারপতিরা বলেন, ঋণগ্রহীতাদের ভালর জন্য সরকারের চিন্তা করা উচিত। তাঁদের রিলিফ দেওয়া উচিত। সুপ্রিম কোর্টে ফের এবিষয়ে শুনানি হবে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে।
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের তিন সদস্য বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিচারপতি এম আর শাহ নির্দেশ দেন, যাঁরা লোন মরেটোরিয়াম চেয়ে আবেদন করেছেন, তাঁদের ঋণ নেওয়া অর্থকে যেন ‘অনাদায়ী ঋণ’ বলে ঘোষণা না করা হয়।
ঋণগ্রহীতারা যাতে কিছুদূর স্বস্তি পান, সেজন্য গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, কারও যদি ঋণ শোধ করতে দেরি হয়, তাঁদের নেওয়া ঋণকে যেন ‘ব্যাড লোন’ বলে ঘোষণা না করা হয়। বিচারপতিরা এদিন বলেছেন, সেই নির্দেশ এখনও বলবৎ থাকবে। ঋণগ্রহীতাদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকা উচিত। ব্যাঙ্ক যেন তাঁদের নিপীড়ন না করে।