এর আগে ২০১৪ সালে একবার আইপিএল আয়োজিত হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। তখন লক্ষ্য করা গিয়েছিল যে, সেখানে আইপিএল মানেই মন্থর পিচে রান ওঠার গতি আটকে যাওয়া। ম্যাচ থেকে স্পিনারদের বাড়তি সুবিধে পাওয়া। তাই আসন্ন আইপিএল ঘিরেও এ রকম একটা ছবি ফুটে উঠছে। কিন্তু এই ধারণাটা এবার বদলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমিরশাহি থেকে যা জানা গিয়েছে, তাতে ব্যাটসম্যানরা খুশি হতে পারেন। ভ্রুকুটি বাড়তে পারে স্পিনারদের।
দুবাই, আবু ধাবি, শারজায় পিচ তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বিভিন্ন ব্যক্তি মারফৎ জানা গিয়েছে, তিনটি কেন্দ্রেই তিনটি করে পিচ তৈরি করা হচ্ছে। কোনও পিচেই পর-পর দু’টো ম্যাচ হবে না। যার ফলে পিচ ভেঙে যাওয়া বা মন্থর হয়ে পড়ার আশঙ্কা কম। সূচি অনুযায়ী, দুবাইয়ে ২৪টি ম্যাচ, আবু ধাবিতে ২০টি এবং শারজায় ১২টি ম্যাচ হবে। অর্থাৎ ৫৩ দিনে একটা পিচে সর্বোচ্চ আটটি ম্যাচ খেলা হবে। তাও মোট ৪০ ওভারের। তাই মরুশহরের পিচ সম্পর্কে অভিজ্ঞদের ধারণা, কোনও ভাবেই বাইশ গজ মন্থর হবে না বা স্পিনাররা বাড়তি সুবিধে পাবে না।
আরও জানা গিয়েছে যে, দুবাই, শারজার পিচের ‘ভিত’টাও খুব মজবুত। প্রথমে পাকিস্তান থেকে মাটি এনে এখানকার পিচ তৈরি হয়েছিল। পরে আইসিসির উদ্যোগে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড থেকেও মাটি নিয়ে আসা হয়। ফলে পিচের বাঁধুনি যথেষ্ট শক্তিশালী। গত বছরই আবার নতুন করে তৈরি হয়েছে শারজার পিচ। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, দুবাই এবং বিশেষ করে শারজার পিচ শান বাঁধানোর মতো চকচকে হবে। ব্যাটসম্যানরা এখানে শাসন করতে পারেন বলেই ধরা হচ্ছে। আবু ধাবির পিচে সাধারণত বাউন্স বেশি থাকে, পেসাররাও একটু সুবিধে পান। দুবাইয়ে পিচ প্রস্তুতকারকদের এখন প্রধান লক্ষ্য, ঠিক মতো জল দিয়ে যাওয়া।
এই মুহূর্তে তিন মরুশহরেই দিনের তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। যে কারণে দিনে বেশ কয়েক বার পিচে জল দিতে হচ্ছে। তবে একটা ব্যাপার কিন্তু স্পিনারদের সামনে সমস্যা তৈরি করতে পারে। তা হল, রাতের শিশির। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রখর তাপমাত্রার কথা মাথায় রেখে কেউ আপাতত এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। কিন্তু স্থানীয় ক্রিকেট মহল মনে করছে, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে শিশির স্পিনারদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ রাতের তাপমাত্রা তখন অনেক কমে যাবে।