এই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে মধ্যযুগীয় কুসংস্কারের সাক্ষী থাকল বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ। সে রাজ্যে ঈশ্বরকে প্রসন্ন করতে স্ত্রীর মাথা কাটল স্বামী! নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের সিংগ্রাউলি জেলায়। সেখানে ইষ্টদেবতাকে তুষ্ট করতে দুই সন্তানের সামনেই স্ত্রীর মুণ্ডচ্ছেদ করেছে এক ব্যক্তি। তারপর কাটা মুন্ডু রেখে এসেছে বাড়ির ঠাকুর ঘরে। অপকর্ম করেই চম্পট দেওয়ার তালে ছিল বছর ৫০-এর অভিযুক্ত। তবে ঘটনাস্থলে ছেড়ে পালানোর আগেই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সিংগ্রাউলি জেলার বাসাউদা গ্রামের বাসিন্দা ব্রজেশ কেওয়াত। স্ত্রী বিট্টি এবং দুই ছেলে মনোজ আর সুরেন্দ্রকে নিয়ে ছিল তার সংসার। পুলিশ জানিয়েছে, গভীর রাতে দুই ছেলের সামনে তাদের মায়ের মাথা কেটে ফেলে ব্রজেশ। ছেলেরা বাবার এমন ভয়ঙ্কর রূপ দেখে আঁতকে ওঠে। মাকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টায় কাকুতি-মিনতি জুড়ে দেয় তারা। তবে তাতেও মন গলেনি দুই সন্তানের বাবার। বরং ছেলেদেরকেও মেরে ফেলার শাসানি দেয় সে। এরপরেই স্ত্রীর মুণ্ডচ্ছেদ করে ব্রজেশ। ভয়ে-আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসে দুই ভাই। খবর দেয় প্রতিবেশীদের।
ব্রজেশ এ হেন কাণ্ড ঘটিয়েছে শুনে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করেন। তাঁদের মধ্যেই কেউ পুলিশের খবর দেন। এরপর পুলিশ এসে অভিযুক্ত ব্রজেশকে স্ত্রীকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে রুজু হয়েছে খুনের মামলা। পুলিশের দাবি, জেরায় তারা জানতে পেরেছে যে কুসংস্কারের বশেই দেবতাকে তুষ্ট করতে সন্তানদের সামনে এ হেন জঘন্য কাজ করেছে ব্রজেশ। পুলিশ জানিয়েছে, ঠাকুরঘরে মটির নীচে স্ত্রীর মুন্ডু পুঁতে রেখেছিল ব্রজেশ। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, কুসংস্কারের বশবর্তী হয়েই এসব করেছে ব্রজেশ। আপাতত ব্রজেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।