মোট আক্রান্তের নিরিখে ব্রাজিলকে পিছনে ফেলে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় এখন দ্বিতীয় স্থানে ভারত। তারপরেও রোজ নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে করোনা। এবার যেমন দেশের দৈনিক নতুন সংক্রমণে ফের বড় সড় লাফ। ৮৯-৯০ হাজারের গণ্ডি থেকে তা পৌঁছে গেল ৯৫ হাজারে। সঙ্গে বাড়ল সংক্রমণ হারও। দৈনিক মৃত্যু গত কয়েক দিন ধরেই হচ্ছে ১১০০-র বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯৫ হাজার ৭৩৫ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই সময়ের মধ্যে আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৩২ হাজার ৯২৯ ও ৮৯ হাজার ৭০৬ জন। ৯৫ হাজার বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৪৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮৬৩ জন। এবং গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সংক্রমণ হার ৮.৪৭ শতাংশ।
কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যু— দু’টি তালিকাতেই শুরু থেকে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সেখানে মোট আক্রান্ত ৯ লক্ষ ৬৭ হাজার।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে মোট আক্রান্ত আজ ৫ লক্ষ ২৭ হাজার। তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত ৪ লক্ষ ৮০ হাজার।চতুর্থ স্থানে থাকা কর্ণাটকে মোট সংক্রমিত চার লক্ষ ২১ হাজার। উত্তরপ্রদেশেও সংখ্যাটা ২ লক্ষ ৮৫ হাজারে পৌঁছেছে। দিল্লীতে মোট আক্রান্ত আজ ২ লক্ষ ছাড়াল। বিহারে ১ লক্ষ ৫২ হাজার ও তেলেঙ্গানাতে ১ লক্ষ ৫০ হাজার। আসাম ও উড়িষ্যাতে মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ও ১ লক্ষ ৩৩ হাজার। গুজরাতেও মোট আক্রান্ত এক লক্ষ ছাড়িয়ে বেড়ে চলেছে। কেরালা ও রাজস্থানে মোট আক্রান্ত ৯৫ হাজার পেরিয়েছে। হরিয়ানায় ৮৩ ও মধ্যপ্রদেশে ৭৯ হাজার।
দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যুতেও অন্যান্য দেশের থেকে এগিয়ে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৭২ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট ৭৫ হাজার ৬২ জনের প্রাণ কাড়ল করোনাভাইরাস। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ২৭ হাজার ৭৮৭ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট মৃত ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা কর্ণাটকে মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ৮০৮। দেশের রাজধানীতে সংখ্যাটা ৪ হাজার ৬৩৮। তবে আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যার মধ্যেই আশার আলো কোভিড রোগীদের সুস্থ হয়ে ওঠা। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৩৪ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৮৩ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ দেশে মোট আক্রান্তের ৭৭.৭৪ শতাংশই সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৭২ হাজার ৯৩৯ জন।