ফের গণপিটুনির ঘটনা ঘটল যোগীর রাজ্যে। তাও আবার খোদ পুলিশের সামনে। জানা যাচ্ছে এক অপরাধীকে পিটিয়ে মারল উত্তরপ্রদেশের কুশীনগর গ্রামের বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালেই। সূত্রের খবর, মৃত ব্যক্তি দিনকয়েক আগেই ওই এলাকার একটি শিক্ষককে খুন করে হত্যা করেছিল। সেই রোষেই এদিন তাঁকে পিটিয়ে মারল গ্রামবাসীরা।
ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিয়োয় লাঠি হাতে কয়েকজন লোককে উত্তেজিত ভাবে ওই ব্যক্তিকে বেধড়র মারধর করতে দেখা যায়। সেই সময় ঘটনাস্থলে রায়ট গিয়ার পরিহিত অবস্থায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাঁদের সামনেই ঘটে যায় নৃশংস ঘটনা।
দমাদম লাঠির বাড়িতে ওই ব্যক্তির মাথা ফেটে যায় এবং রক্তে ভেসে যায় রাস্তা। মাথা ফেটে গিয়েই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পুলিশের বিবৃতি অনুযায়ী, গণপ্রহারে মৃত ব্যক্তি গোরক্ষপুরের বাসিন্দা। সোমবার সকালেই ওই ব্যক্তি নিজের বাবার বন্দুক নিয়ে স্থানীয় এক শিক্ষককে গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ।
জানা যাচ্ছে, যুবকটি এদিন বাবার বন্দুক দিয়ে একজন স্কুল শিক্ষককে সকলের সামনে গুলি করে হত্যা করে। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ধরতে চাইলে সে একটি বাড়ির ছাদে উঠে পড়ে। জনতাকে ভয় দেখানোর জন্য শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে। কিন্তু গ্রামবাসীরা ভয় না পেয়ে বাড়ির নীচে অপেক্ষা করতে থাকে। এদিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে অভিযুক্ত জানায় সে আত্মসমর্পণ করবে।
এদিকে তাঁকে ছাদ থেকে নামিয়ে তাঁকে যখন পুলিশের গাড়ির দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই সময় উন্মত্ত জনতা তাঁকে কিল, চড়, ঘুষি মারতে শুরু করে। পুলিশরা তাঁকে কোনও রকমে গাড়িতে তুলতে চাইলেও বাসিন্দারা তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নামায়। এরপর লাঠি, রড দিয়ে বেধড়ক মারতে শুরু করে তাঁকে। অন্যদিকে পুলিশ কার্যত নীরব দর্শক হয়ে গোটা বিষয়টি দেখে। শেষমেশ তাঁকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এখনও কাওকেই গ্রেফতার করতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন।