গেরুয়া শিবিরের হয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে আওয়াজ তোলার পরেই শিকে ছিঁড়েছিল তাঁর। পুরষ্কার হিসেবে জুটেছিল রাজ্যসভার সাংসদ পদ। কলা ও সাহিত্যে দক্ষতা অর্জনকারীদের জন্য যে ‘বিশিষ্ট বিভাগ’ রয়েছে, তাতেই তাঁর নাম মনোনীত করেছিল বিজেপি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, সাংসদ হিসাবে প্রায় চার বছর কাটিয়ে দেওয়ার পরেও এখনও বিজেপিতে যোগ দেননি স্বপন দাশগুপ্ত। যেখানে রাজ্যসভার ৬ জন বিজেপি মনোনীত সদস্যের ছয় মাসের সময়সীমার মধ্যেই বিজেপিতে অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে।
প্রসঙ্গত, বিধি বলছে যে মনোনীত সদস্যরা শপথ নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে তাদের অনুমোদিত মনোনয়ন একটি অনুমোদিত দলে বদলে দিতে পারবেন। কিন্তু বিজেপির হয়ে কথা বললেও এখনও নিজের অনুমোদন বিজেপিতে বদলে নেননি স্বপন। এ নিয়ে স্বপনের পাশাপাশি বিজেপিকেও কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দলের তরফে দোলা সেন বলেন, আমরা স্বপনকে গুরুত্বই দিই না। উনি এখনও বিজেপির প্রতিই তাঁর আনুগত্য দেখাতে পারেননি। পাশাপাশি, তাঁর খোঁচা, ‘অমিত শাহ কি জানেন যে স্বপন তাঁর রাজ্যসভা আসনটিও আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে যথেষ্ট চিন্তা করেন না?’
উল্লেখ্য, রাজ্যসভার ৯ জন বিজেপি মনোনীত সদস্য ছয় মাসের সময়সীমার মধ্যেই বিজেপিতে তাদের অধিভুক্তি পরিবর্তন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী, রূপা গাঙ্গুলি, রাকেশ সিনহা, সোনাল মানসিংহ এবং রঘুনাথ মহাপাত্র। আর যে তিনজন বিজেপিতে অধিভুক্তি পরিবর্তন করেননি তাঁরা হলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, চ্যাম্পিয়ন বক্সার মেরি কম এবং স্বপন। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, রাজ্যসভায় কোনও সাংসদ নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের সদস্যের মতো আচরণ করলেও তাঁর অফিসিয়াল অধিভুক্তি পরিবর্তন করেননি, এমনটা নজিরবিহীন।