এই করোনার আবহে সব পুজো কমিটিই বাজেট প্রচুর কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার আঁচ পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার ডেকরেটর ব্যবসায়ীর উপর। সারা বছর পুজোর মরশুমের মুখ চেয়ে বসে থাকা ডেকরেটর ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। করোনায় এ বছর বেশির ভাগ পুজোই ছোট হতে চলেছে। ফলে জেলার বহু ডেকরেটর সংস্থার কর্মীরা কলকাতায় আসতে পারছেন না।
ডেকরেটর ব্যবসায়ী অরুণ ঘোষ রায় আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধের মুখে। অন্যান্য বছর অন্তত চারটি বড় ও মাঝারি মাপের পুজোর কাজ করি। ২৫-৩০ জন কর্মচারী কাজ করেন। এ বছর যা অবস্থা তাতে খুব বেশি হলে দু’একটি কাজ জুটতে পারে। তা-ও খুব কম টাকার বরাত। ফলে সাত-আট জন কর্মচারী নিয়েই কাজ হয়ে যাবে।’
শুধু দুর্গা পুজো নয়, প্রতি বছর গণেশ, বিশ্বকর্মা পুজোতেও চুটিয়ে কাজ হয় ডেকরেটর ব্যবসায়ীদের। এই বছর সে ভাবে গণেশ পুজো হয়নি। বিশ্বকর্মা পুজো কতটা হবে, তা-ও স্পষ্ট নয়। হলদিয়ার ডেকরেটর ব্যবসায়ী সুকুমার মিদ্দার আক্ষেপ, ‘কর্মচারীরা আমার মুখ চেয়ে আছে। আমি পুজো কমিটিগুলির মুখ চেয়ে। হলদিয়ায় বিশ্বকর্মা পুজো খুব বড় করে হয়। এ বছর তা হবে, এমন আশা নেই। গত বছর তিনটি বড় কোম্পানির বিশ্বকর্মা পুজোর প্যান্ডেল করেছিলাম। কুড়ি-পঁচিশ জন কর্মচারীকে বাড়তি নিযোগ করতে হয়েছিল। এ বছর অবস্থা খুবই খারাপ।’
ডেকরেটর সমন্বয় সমিতির রাজ্য কমিটির যুগ্ম সম্পাদক গোপাল সরকারের দাবি, তাঁদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন রাজ্যের ৩৫ হাজার ডেকরেটর ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘একজন ডেকরেটরের সঙ্গে কাজ করেন গড়ে দশ জন কর্মচারী। এই শিল্পের মন্দায় তাই ক্ষতির মুখে লক্ষাধিক পরিবার।’