হেট স্পিচ নিয়ে সপ্তাহখানেক ধরে নানা মহলে চাপের মুখে এবার কড়া পদক্ষেপ করল ফেসবুক। পোস্টে হিংসা ও ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে বিজেপি বিধায়ক টি রাজা সিং-কে নিষিদ্ধ করল ফেসবুক। একই সঙ্গে ওই বিজেপি বিধায়ককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইনস্টাগ্রামেও৷
এই প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে ফেসবুক জানিয়েছে, ‘আমাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কাউকে ঘৃণাসূচক বা হিংসাত্মক মন্তব্য করতে দেওয়া হয় না। যাঁরা ওই ধরনের প্রচার করতে পারেন, তাঁদের সম্পর্কে আমরা আগে থেকেই সাবধান হই। টি রাজা সিং নানা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন, যা সংস্থার নীতির বিরুদ্ধে৷ তাই রাজা সিং-কে ব্যান করা হল।’
সম্প্রতিমার্কিন পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে বলা হয়, রাজা সিং বিভেদকামী বক্তব্য পেশ করার পরেও তাঁকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করেনি ফেসবুক। সংস্থার ইন্ডিয়া এক্সিকিউটিভ আঁখি দাস নাকি ওই রাজনীতিককে ব্যান করতে বাধা দিয়েছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল, কোনও বিজেপি নেতাকে নিষিদ্ধ করলে ভারতে ফেসবুকের ব্যবসার ক্ষতি হতে পারে। তারপর থেকেই ফেসবুক-বিজেপি আঁতাঁতের অভিযোগ তুলে সরব হয় বিরোধী দলগুলি৷
এরপর তথ্যপ্রযুক্ত বিষয়ক সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি সমন পাঠায় ফেসবুক ইন্ডিয়ার কর্তাদের৷ সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটি বৈঠকে একের পর এক প্রশ্নে বেকায়দায় পড়েন ফেসবুক ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর অজিত মোহন৷ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর সংসদের ওই স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান৷ বুধবারের ওই বৈঠক চলে প্রায় ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট৷
সাংসদরা ফেসবুক-কে জিজ্ঞেস করেন, বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে ফেসবুক কী ধরনের বা কত বার পদক্ষেপ করেছে? সূত্রের খবর, ফেসবুক ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর জানান, তাদের কাছে কোনও নির্দিষ্ট নম্বর নেই বলার মতো৷ তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ পাওয়ার পরে পদক্ষেপ করা হয়েছে৷ ফেসবুক-এর কর্মীদের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতিফলন নিয়েও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়৷