জন্মাষ্টমীর দিনে স্কুল খোলা রাখায় বিজেপির নেতা-কর্মীদের রোষানলে প্রধান শিক্ষক-সহ শিক্ষাকর্মীরা। আক্রোশের বশে তাঁদের স্কুলের ভিতরে আটকে বাইরে থেকে গেট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের এই ঘটনায় তুঙ্গে বিতর্ক।
মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশিত হওয়ার পর ইতিমধ্যেই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই স্কুলের অভ্যন্তরীণ কিছু কাজ করতেই হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের। সেই কারণেই ছুটি ঘোষণা হওয়া সত্ত্বেও মঙ্গলবার জন্মাষ্টমীর দিন খোলা ছিল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের কল্যাণগড় সংস্কৃতিক সংঘ শিক্ষা নিকেতন স্কুল। প্রধান শিক্ষক-সহ চারজন অফিসিয়াল কাজ করতেই বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন এদিন। বিষয়টি কানে যেতেই স্কুলে হাজির হন স্থানীয় বিজেপি নেতা স্বপন দে। কেন ছুটির দিনে স্কুল খোলা হল, প্রধান শিক্ষকের কাছে তা জানতে চান তিনি। কারণ শোনার পরই ওই মুহূর্তে স্কুল বন্ধের দাবি জানান ওই বিজেপি নেতা। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সাফ জানিয়েছিলেন, তাঁদের কিছু কাজ রয়েছে। তাই সময় লাগবে।
এতেই ক্ষেপে যান বিজেপি নেতা ও তাঁর দলবল। অভিযোগ, তখন শিক্ষকদের ভিতরে রেখে স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। অশোকনগর থানায় বিষয়টি জানান প্রধান শিক্ষক প্রবীর কুমার সাহা। এরপর পুলিশই ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকে পড়া শিক্ষকদের উদ্ধার করে। এবিষয়ে ইতিমধ্যেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে স্কুলের তরফে। এপ্রসঙ্গে বিজেপি নেতা স্বপন দে বলেন, তাঁদের কাছে খবর ছিল ছুটির দিনে জোরপূ্র্বক প্রধান শিক্ষক অন্যন্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের স্কুলে যেতে বাধ্য করেছেন। সেই কারণে মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষকের কাছে স্কুল বন্ধের আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের আবেদন না মানায় স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিজেপির এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রদীপ সিং। তাঁর কথায়, ‘বিজেপির মতো অশিক্ষিত দলের কাছে এই আচরণই কাম্য।’ পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৩ বিজেপি নেতাকে আটক করা হয়েছে।