দেশজুড়ে করোনার চোখ রাঙানিতেও আশা জাগাচ্ছে বাংলা। জানা গেছে কলকাতা পুরসভা এলাকায় কনটেনমেন্ট জোনের যে সংখ্যা নবান্ন প্রকাশ করেছে সেখানে এক ধাক্কায় ৩৯ থেকে ২৩টিতে নেমে এসেছে।
রাজ্য সরকার এদিন কলকাতা পুরসভা এলাকার কনটেন্টমেন্ট জোনের যে নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে সেখানে এক ধাক্কায় ৩৯ থেকে নেমে ২৩ হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার যে ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে ১৩টি জোন ছিল সেখানে মাত্র পাঁচটিতে চলে এসেছে।
অন্যদিকে শহরে কোভিড সংক্রমণ রুখতে হোম আইসোলেশনের নিয়মভঙ্গকারী করোনা রোগীর বাড়িতে কার্যত শোকজ চিঠি পাঠাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। শুধু তাই নয়, পরোক্ষে করোনা সংক্রমণের দায়ে অভিযুক্ত রোগীর হোম আইসোলেশনে থাকার বৈধতাও সোমবার বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভার কোভিড মোকাবিলা কমিটি।
নিভৃতবাসে সম্পূর্ণ ঘরবন্দি থাকার পরিবর্তে রোগী বা তাঁদের পরিবারের সদস্যরা বাজার-দোকানের মতো সামাজিক ক্ষেত্রে মেলামেশা করছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে পুরসভা। পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে শহরের সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সংক্রমণের মূল কারণ হিসাবে হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের চরম গাফিলতি ও নিয়মভঙ্গ করাকেই চিহ্নিত করেন চিকিৎসক ও পুরকর্তারা।
যাঁরা হোম আইসোলশেনে থাকবেন তাঁদের কী কী শর্ত মানতে হবে তার গাইডলাইনও পুরসভা ছাপানো ফর্মে বাড়ি বাড়ি পাঠাবে। প্রতিটি রোগীর বাড়িতে ফোনে নজরদারি চালাবে ওয়ার্ড ভিত্তিক ‘ট্রেকিং সেল’, জানান অতীন ঘোষ।