বিসিসিআইয়ের সম্প্রতি জারি করা ‘এসওপি’-র বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করতে গিয়ে এবার বাংলার কোচ অরুনলাল টেনে আনলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তাঁর প্রশ্ন, দেশের প্রধানমন্ত্রীও তো ষাটোর্ধ্ব। কিন্তু তাঁর জন্য কী তিনি কাজ বন্ধ করেছেন? নাকি তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে? ভয়ঙ্কর কর্কট রোগকে হারানো বাংলা কোচ অরুণলাল ভাবতেই পারছেন না, করোনার সামনে তাঁকে এভাবে নতজানু হতে হবে! কখনও বোর্ডের আইনের বিরুদ্ধে মৃদু উষ্মা দেখাচ্ছেন। কখনও আবার করোনাকে শাপ-শাপান্ত করছেন। ডাকাবুকো বঙ্গ কোচ গতকাল থেকেই বেশ বিরক্ত। অশান্তও।
ভারতীয় বোর্ড থেকে যে ট্রেনিং শুরুর ‘এসওপি’ কিংবা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাদের কাছে পাঠানো হয়েছে, তার একটা নির্দেশিকাই কাঁপিয়ে দিয়েছিল সিএবি-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাকে। যেখানে পরিষ্কার বলা ছিল, কঠোর নিয়মাবলী মেনে শিবির শুরু হলেও ষাটোর্ধ্ব কোনও সাপোর্ট স্টাফ বা মাঠকর্মী সেখানে থাকতে পারবেন না। যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, কিংবা যাঁদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম– তাঁরাও না। সিএবি দেখে যে সেই নিয়মে বিভিন্ন পর্যায়ের বাংলা কোচ থেকে শুরু করে কিউরেটর– একাধিক ব্যক্তি আটকে যাচ্ছেন। কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় পারবেন না। তাঁর বয়স পঁয়ষট্টি। নির্বাচক প্রধান পলাশ নন্দী পারবেন না। তাঁর আটষট্টি। জুনিয়র টিমের কোচ প্রণব নন্দী পারবেন না। তিনি পঁয়ষট্টি। সর্বোপরি, বাংলা সিনিয়র টিমের কোচ অরুণ লাল পারবেন না। কারণ– তাঁরও বয়স পঁয়ষট্টি।
অরুণ বলেন, “আমি বুঝতে পারছি যে, বোর্ড আমাদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই গাইডলাইন করেছে। বলেছে যে, ষাটোর্ধ্বরা এই সময়ে টিমের ট্রেনিংয়ে না এলেই ভাল। কোথাওই বলা হয়নি, আমাদের বাদ দিতে হবে। কিন্তু একটা জিনিস বুঝতে পারছি না যে, ষাট বছর বয়সটা বেঞ্চমার্ক কী করে হতে পারে? করোনা কি কখনও বয়স দেখে আসে?” এর সঙ্গেই তিনি বলেন, “আরে, এটা তো হতে পারে না যে, আমার বয়স ৫৯ বলে আমি সেফ। আমার কিছু হবে না। আর ষাট হলেই হবে। দেশে ষাটের নীচের লোকজনদের যা করোনা গাইডলাইন, ষাটোর্ধ্বদেরও ঠিক সেটাই। আমরাও তাই অন্যান্যদের মত বারবার হাত ধুই। আমরা তাঁদের মত স্যানিটাইজার ব্যবহার করি। মাস্ক পরি। কিন্তু ষাটের বেশি বয়স বলে কেন আমি বাড়ি বসে থাকব?