আমেরিকার ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি তিন স্তরের ভ্যাকসিন ট্রায়ালে রয়েছে। তিন সংস্থাই তাদের ভ্যাকসিন নিয়ে সুখবর দিয়েছে। চলতি বছরেই যদি ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে। যদি তেমন হয় তবে
আমেরিকার উচিত সবচেয়ে আগে গরিব ও পিছিয়ে পড়া দেশগুলিতে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া, এমনটাই বললেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।
বিল গেটসের বক্তব্য, আসল সময় তারা ভ্যাকসিন বিতরণে কতটা সংহতির পথে হাঁটে, সেটাই দেখার বিষয়। মার্কিন ফার্মা জায়ান্ট মোডার্না বায়োটেক, ফাইজার ও নোভাভ্যাক্স—তিন মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ভ্যাকসিন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে। মাইক্রোসফট কর্তা বলেন, “আমরা শুধু নিজেদের সুরক্ষা নিয়েই ভাবছি। নিজেদের খেয়াল রাখার কথা ভাবছি। ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বিতরণে যেন সেটা না হয়।”
বিল গেটস বলেছেন, কোভিড ভ্যাকসিন গবেষণায় কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। মোডার্না বায়োটেকনোলজির ভ্যাকসিন গবেষণার অনুদান দিচ্ছে মার্কিন সরকার। এই সংস্থার ভ্যাকসিন ট্রায়াল ও উৎপাদনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ।
জার্মান কোম্পানি বায়োএনএটেকের হাত ধরে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের তৃতীয় স্তরে ঢুকে গেছে মার্কিন সংস্থা ফাইজার। আমেরিকা শুধু নয় জার্মান, ব্রাজিল সহ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে টিকার ট্রায়াল চলছে। কাজেই মার্কিন সরকারের খেয়াল রাখা উচিত শুধু ধনীরাই যেন ভ্যাকসিনের সুবিধা না পান, গরিব ও উন্নয়নশীল দেশগুলিতে আগে টিকা পৌঁছে দেওয়া জরুরি, তা না হলে এই অতিমহামারীকে রোখা সম্ভব হবে না।