করোনা সংক্রমণ রোধ করতে গতকাল রাতেই দেশের বিভিন্ন রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাকে ট্রেনিং শুরু নিয়ে একটি ‘এসওপি’ (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) বা নির্দেশিকা পাঠিয়েছে বোর্ড। তাতে একঝাঁক নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ট্রেনিং শুরু করা থেকে ক্রিকেটারদের পকেটে স্যানিটাইজার রাখা, মাঠে আসার আগে সর্বক্ষণ মাস্ক পরে থাকা, অন্যের সরঞ্জাম না নিয়ে নিজের ক্রিকেটীয় সরঞ্জাম নিজেদের কিনতে বলা– এরকম নানাবিধ নির্দেশিকা ১০৭ পাতার ‘এসওপি’-তে পাঠায় বোর্ড।
কিন্তু বোর্ড প্রেরিত সেই ‘এসওপি’–তে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ট্রেনিং কী ভাবে শুরু করা হবে, সেটাও বলা হয়েছিল। সেই ‘এসওপি’ মারফত দেখা যাচ্ছে, জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ট্রেনিং শুরু করতে হলে সর্বাগ্রে কোভিড টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। যে ফোর্সে স্বয়ং রাহুল দ্রাবিড় রয়েছেন। এছাড়াও সেই টিমে একজন মেডিক্যাল অফিসার এবং একজন নার্সও ‘অন কল’ ভিত্তিতে থাকবে।
বোর্ডের সেই ‘এসওপি’ থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ১২ দফা নির্দেশিকা তুলে দেওয়া হল:
১) অ্যাকাডেমিতে ট্রেনিং শুরুর আগে সমস্ত ক্রিকেটারদের সরঞ্জাম জীবানুমুক্ত করতে হবে।
২) ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফরা মাঠে নামার আগে তাঁদের প্রত্যেকের স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক। নতুন কেউ এলেও তাঁর করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।
৩) ক্রিকেটারদের সবাইকে নিজস্ব পোশাক পরে আসতে হবে। এনসিএ–র শৌচাগারও যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করতে হবে।
৪) ট্রেনিং চলাকালীন বা অন্য সময়ও বল পালিশে থুতু ব্যবহার করা যাবে না। অন্য পদ্ধতিতে বলকে জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
৫) কোচ বা সাপোর্ট স্টাফদের কাউকে প্রতিদিন প্রত্যেক ক্রিকেটারের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতে হবে।
৬) ছোট গ্রুপে ট্রেনিং শুরু করতে হবে। এবং দু’জন ক্রিকেটারের মধ্যে অন্ততপক্ষে দু’মিটারের দূরত্ব থাকা বাধ্যতামূলক।
৭) ট্রেনিং এমনভাবে করতে হবে যাতে ফিজিওথেরাপির প্রয়োজন তেমন না পড়ে।
৮) জিমের সরঞ্জাম নতুন করে সাজাতে হবে। জিম ব্যবহার না করতে পারলে সবচেয়ে ভাল। কিন্তু একান্তই প্রয়োজন হলে দু’মিটারের দূরত্বে দু’জনকে জিম করতে হবে। একসঙ্গে ঘরে থাকতে পারবেন চার জন ক্রিকেটার। বিভিন্ন স্লটে জিম সেশনকে ভাগ করতে হবে যাতে যথেষ্ট সময় থাকে জিমের সরঞ্জামকে জীবাণুমুক্ত করার।
৯) ফিজিওথেরাপির একান্ত দরকার হলে সেই ঘরে এসি বন্ধ রাখতে হবে। প্লেয়ার এবং ফিজিও দু’জনকেই মাস্ক পরতে হবে।
১০) মাস্কে ক্রিকেটাররা নাম লিখে রাখলে আরও ভাল। তাতে অন্যেরটা ব্যবহার করার ভুল হবে না।
১১) ট্রেনিং শুরুর আগে ক্রিকেটারদের কোভিড শিক্ষার বন্দোবস্ত করা বাধ্যতামূলক।
১২) ট্রেনিং শুরুর আগে ক্রিকেটারকে লিখিত দিতে হবে যে, সে ট্রেনিং করতে রাজি রয়েছে।