রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলিকে রবিবার রাতেই নতুন গাইডলাইন পাঠিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। সেই গাইডলাইন অনুযায়ী কোচিং স্টাফদের কারও ৬০–এর বেশি বয়স হলে এবং আগে কোনও শারীরিক সমস্য থাকলে তিনি আর কাজ করতে পারবেন না। সেই নির্দেশিকা মাথায় রেখে সোমবার থেকেই পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে সিএবি। এর পরেই প্রশ্ম উঠছে তাহলে কি বাংলার কোচ থাকছেন না অরুন লাল?
অরুণ লাল বললেন, ‘পুরো নির্দেশিকা পড়লে তবেই ব্যাপারটা স্পষ্ট হবে। সব কিছু শুনে মনে হচ্ছে, বিসিসিআই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। এটা ভালো। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আমাদের সবার কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চলা দরকার। তবে ৬০ পেরিয়ে গেলে দলের সঙ্গে প্র্যাকটিসে থাকা যাবে না, এটা সঠিক পদক্ষেপ নয়। আমার বয়স ষাটের বেশি। তার মানে আমি আনফিট। কিন্তু যাঁর বয়স ৫৯ বছর ৩৬৪দিন, তাকে ফিট বলা হচ্ছে। এটা বোর্ডের ভেবে দেখা উচিত। করোনা যে কারও হতে পারে। তবে যাঁদের বয়স বেশি, তাঁদের অধিক সাবধানতা অবলম্বনের প্রয়োজন রয়েছে। আমার মনে হয়, সেই কারণেই বিসিসিআই ষাট বছর বয়সের সীমা বেঁধে দিয়েছে। গাইডলাইন হাতে আসার পর সিএবি সচিব আমাকে ফোন করেছিলেন। বাংলার কোচ হিসেবে আমাকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন তিনি। এই নিয়ম কত দিন লাগু থাকবে, সেটা স্পষ্ট নয়। আসলে আমরা কেউই জানি না, ঘরোয়া ক্রিকেট ফের কবে শুরু হবে? তাড়াহুড়োর কিছু নেই। হাতে অনেক সময় রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে করোনার এই নির্দেশিকা অনেকটাই শিথিল হবে বলে আমার বিশ্বাস। তখন মনে হয় না বাংলা দলকে কোচিং করাতে কোনও সমস্যা হবে। আমার বয়স দেখে যাঁরা ভাবছেন যে আমি আনফিট, তাঁদের জানিয়ে দিতে চাই- কিছু বোর্ড কর্তার থেকে আমি অনেক বেশি ফিট। প্রত্যেক দিন তিন-চার ঘণ্টা শরীরচর্চা করি। অনুশীলনের পর ইডেন থেকে হেঁটে বাড়ি যাই। সবচেয়ে ভালো হয়, ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোচেদেরও ফিটনেস টেস্ট নেওয়া হোক।’
অরুণ লালই যে আপাতত বাংলার কোচ থাকছেন সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া। তিনি বলেন, ‘বোর্ডের নির্দেশিকা আমরা মেন চলব। অরুণ লালই বাংলার কোচ থাকবেন। ওঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আগামী দিনে সরকারি নির্দেশিকার ভিত্তিতে বোর্ডের এসওপি সংশোধিত হবে। পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রাখব। বিভিন্ন দলের কোচিং স্টাফরা লকডাউনের সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেটা আগামী দিনেও জারি থাকবে।’