রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট দাবি করেছেন, তাঁর পক্ষে ১০২ জন বিধায়ক আছেন। অর্থাৎ ২০০ সদস্য বিশিষ্ট বিধানসভায় গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে যতজনের সমর্থন দরকার তার চেয়ে মাত্র একজন বেশি আছে। যা খুব একটা স্বস্তিদায়ক নয় গেহলটের পক্ষে। এদিকে রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র ‘সাংবিধানিক রীতি’-র দোহাই দিয়ে বিধানসভার অধিবেশন ডাকার জন্য ২১ দিন সময় নিয়েছেন। তার ওপর আবার বিভিন্ন সূত্রে খবর আসছে, রাজস্থানের আরও কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক বিদ্রোহী নেতা সচিন পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এই পরিস্থিতিতে গেহলট শুক্রবার তাঁর শিবিরের বিধায়কদের রাজধানী জয়পুরের হোটেল থেকে মরুশহর জয়সলমেরের রিসর্টে পাঠিয়ে দিলেন।
এদিন হোটেল থেকে বাসে চড়িয়ে আজ গেহলট শিবিরের বিধায়কদের জয়পুর এয়ারপোর্টে আনা হয়। সেখান থেকেই জয়সলমেরের উড়ান ধরেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের নির্দেশে আগামী ১৪ অগস্ট রাজস্থান বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, ১৭ আগস্ট বিধানসভায় আস্থাপ্রস্তাব পেশ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী গেহলট। এই পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে, সরকার পক্ষের ১০২ জন বিধায়ককে বিধানসভা অধিবেশন পর্যন্ত কয়েকটি আলাদা ঠিকানায় রাখা হবে। এদিকে শিবিরের সমস্যা আরও বাড়িয়েছে, বিএসপির ছ’জন বিধায়কের কংগ্রেসে মিশে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যোধপুর হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলা। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারও ফের বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ তুলেছিলেন গেহলট। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, সচিন শিবিরের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের যোগাযোগ রয়েছে।