প্রায় ১ বছরের মাথায় মিলল মুক্তির স্বাদ। অবশেষে ৩৬০ দিন পর গৃহবন্দী অবস্থা থেকে মুক্তি পেলেন জম্মু ও কাশ্মীরের পিপলস কনফারেন্স নেতা সাজাদ লোন। গত বছর আগস্ট মাসে ৩৭০ ধারা বাতিলের পরই ভূস্বর্গের একাধিক নেতা-নেত্রীদের গৃহবন্দী করে রেখেছিল প্রশাসন। আগামী মাসেই ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির বর্ষপূর্তি। তার আগেই পিপলস কনফারেন্স নেতা সাজ্জাদ লোনকে মুক্তি দেওয়া হল। কিন্তু এখনও বন্দী রয়েছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। তাহলে তিনিও কি খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছেন, শুরু হয়েছে জল্পনা।
এদিন প্রশাসনের তরফে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। মুক্তির স্বাদ পেয়েই এদিন টুইটারে সাজ্জাদ লেখেন, “অবশেষে সরকারিভাবে আমি মুক্ত হলাম। পাঁচদিন কম এক বছর এই বন্দিদশা কাটালাম। তবে এই প্রথম জেলবন্দী হলাম, তা নয়। এর আগে শারীরিকভাবে অত্যাচারের শিকার হয়েছিলাম। কিন্তু এবার মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। অনেক কিছু বলার আছে। আশা করি খুব শীঘ্রই তা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারব।” প্রসঙ্গত, সাজাদকে প্রথম ৬ মাসের জন্য রাখা হয়েছিল এমএলএ হোস্টেলে। পরে তাঁকে সরকারি নিবাসে রাখা হয়।
সাজাদ কাশ্মীরে পিডিপি-বিজেপি সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু ৩৭০ ধারা বিলোপের তীব্র বিরোধিতা করেন। এরপরই তাঁকে গৃহবন্দী করা হয়। প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ ওমর আবদুল্লা প্রায় আট মাস বন্দীদশার পরে মুক্তি পান। তার আগের দিন অর্থাৎ ২৩ মার্চ মুক্তি দেওয়া হয় ওমরের বাবা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকেও। তবে আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এখনও আটক রয়েছেন।