করোনা-যুদ্ধে প্রথম থেকেই কোমড় বেঁধে নেমেছে পুর প্রশাসন। ইতিমধ্যেই শহরের ১৬ টি বরোয় ৮০০ জনের অ্যান্টিজেন পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। এবার আরও একধাপ এগিয়ে সচেতনতার প্রচারে করোনা জয়ীদের তালিকা তৈরি করছে কলকাতা পুরসভা। বরো কো-অর্ডিনেটর এবং ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটররা ইতিমধ্যেই নিজেদের এলাকার করোনা মুক্ত ব্যাক্তিদের তালিকা তৈরি করা শুরু করেছে। অন্যদিকে, পুরসভার কর্মী ও আধিকারিকদের জন্য নিয়মিত সোয়াব বা লালারসের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুরসভার সদর দফতরের সামনে রক্সি সিনেমা হলে সেই লালারস নমুনা সংগ্রহের স্থায়ী কেন্দ্র করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রসাশক ফিরহাদ হাকিম জানান, বর্তমানে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তার খাতিরেই কর্মীদের সোয়াব টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত পুরকর্মী ও আধিকারিকরা বিনামূল্যে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করতে পারবেন। আগামী শুক্রবার থেকে এই নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হবে, এমনটাই জানান প্রশাসক। অন্যদিকে, করোনা আক্রান্তদের মনের জোর বাড়াতে কাজ করবেন করোনা জয়ীরা। তার জন্য বানানো আবে একটি ভিডিও। সেই ভিডিওতে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানাবেন করোনা জয়ীরা। এই কাজের জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকা থেকে করোনা জয়ীদের নাম তালিকাভুক্তকরণ এর কাজ শুরু করে দিয়েছে পুরসভা।
দুটি ধাপে তৈরি হবে এই তালিকা। স্বচ্ছল ব্যক্তি, যাঁরা ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন, তাঁদের নিয়ে পৃথক তালিকা তৈরি হবে। তুলনামূলক নিম্নবিত্ত, গরিব করোনা জয়ীদের নিয়ে অপর একটি তালিকা তৈরি হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সচ্ছল করোনা জয়ীরা তাঁদের বর্গের মানুষকে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শোনাবেন। সেই ভিডিও প্রকাশ করবে পুরসভা। অন্যদিকে নিম্নবিত্ত, গরিব করোনা জয়ীরা বস্তি এলাকা কিংবা অন্যান্য অঞ্চলে অনেক সুস্থ হয়ে ওঠা করোনা রোগী রয়েছেন, যাঁরা বেকার, তাঁদের এই তালিকার মধ্যে রাখা হবে। পুরসভার করোনা সংক্রান্ত প্রচার অভিযান, বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্য সমীক্ষার কাজ সহ বিভিন্ন কাজে এঁদের লাগানো হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মত এঁরা প্রত্যেকেই পাবেন বিশেষ ভাতা।