ত্রয়োদশ আইপিএল সংক্রান্ত বেশ কিছু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে রবিবার গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক ডাকল বিসিসিআই। টি-২০ বিশ্বকাপ স্থগিত হওয়ার পর থেকেই বোর্ড কর্তারা আইপিএলের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন। প্রাথমিক ক্রীড়াসূচিও তৈরি। গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল আগাম ঘোষণা করে দিয়েছেন, করোনার কারণে এবার দেশের মাটিতে ক্রোড়পতি লিগ আয়োজন সম্ভব নয়। তাই সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ১৯ সেপ্টেম্বর প্রতিযোগিতা শুরু হবে। ফাইনাল হবে ৮ নভেম্বর। কিন্তু এখনও কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি না মেলায় সরকারিভাবে আইপিএলের ক্রীড়াসূচি ঘোষণা করতে পারেনি বিসিসিআই। শোনা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সরকারের কাছ থেকে সবুজ-সংকেতও পেয়ে যাবে বিসিসিআই।
খেলা যেহেতু দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হবে, তাই মাঠে ঢোকার কোনও প্রশ্ন নেই। এই ব্যাপারগুলি সম্পর্কে ফ্র্যাঞ্চাইজিদেরও মতামত নেওয়া হবে। আসলে যত বেশি লোক নিয়ে যাওয়া হবে, সমস্যা তত বাড়বে। এমনিতেই আটটি দলের ক্রিকেটার সাপোর্ট স্টাফ এবং অফিসিয়ালদের পাশাপাশি বিসিসিআই, ব্রডকাস্টার, আম্পায়ার সহ অনেকের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। অন্য সময় হলে কোনও সমস্যা হত না। কিন্তু করোনার জেরে পরিস্থিতি এখন ভিন্ন। সব কিছুই নিয়ম মেনে করতে হবে। এদিকে, চীনের একটি বাণিজ্যিক সংস্থা আইপিএলের স্পনসর থাকবে কি না, তা নিয়েও গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।
আইপিএলের ক্রীড়াসূচির যে খসড়া তৈরি করেছে বিসিসিআই, তা নিয়ে সম্প্রচারকারী সংস্থা খুশি নয়। কিন্তু বিসিসিআই চাইছে, ৫০ দিনেই পূর্ণাঙ্গ টুর্নামেন্ট সম্পন্ন করতে। তবে সম্প্রচারকারী সংস্থার দাবি মেনে শনি ও রবিবার ছাড়া সপ্তাহে আর কোনও দিন দু’টি করে ম্যাচ হয়তো রাখা হবে না। তাতে সম্প্রচারকারী সংস্থাটি খুশি হবে বলেই আশা বোর্ড কর্তাদের। এদিকে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই যেহেতু আইপিএল হচ্ছে, তাই আলাদা গাইডলাইনও তৈরি করবে বোর্ড। যা মেনে চলতে হবে প্রত্যেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (সপ) কপি তুলে দেওয়া হবে প্রতিটি দলের হাতে। ক্রিকেটাররা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন কিনা, সেই ব্যাপারটি এখনও স্পষ্ট নয়।