দরমা আর বাঁশের বেড়ায় ঝুলছে দামী ঝকঝকে এলইডি টিভি। বসেছে মিউজিক সিস্টেম। টেবিলে তিন-তিনটে খবরের কাগজ। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মগরাহাট ২ নম্বর ব্লকের মূলটি পঞ্চায়েতের জলধাপার সেফ হোমে রাখা উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গের করোনা পজিটিভ রোগীদের বিনোদনের জন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা। ৫০ শয্যার এই সেফ হোমে শুধু তাই নয়, থাকছে সুস্বাদু খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্তও। মথুরাপুর ১ ও ২ নম্বর ব্লক, মগরাহাট ১ ও ২ নম্বর ব্লক এবং মন্দিরবাজারের একটি অংশের করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য তৈরি হয়েছে এই সেফ হোম।
ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস রায় বলেন, সেফ হোমে রোগীদের দিনে দু’বার স্বাস্থ্যপরীক্ষা হবে। রয়েছেন অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এছাড়াও সেফ হোমে থাকা কোভিড আক্রান্ত রোগীদের হঠাৎ বিশেষ কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত কোভিড হাসপাতালে পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স। সেফ হোমের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পুলিশী বন্দোবস্ত ছাড়াও সিসিটিভি লাগানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসডিপিও শান্তনু সেন।
ডায়মন্ড হারবার মহকুমায় করোনা সংক্রমণের নিরিখে মগরাহাট এলাকা বিশেষভাবে চিহ্নিত হয়েছে। সেকারণেই তৈরি করা হয়েছে এই সেফ হোম। সেখানে থাকা উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গের করোনা আক্রান্ত রোগীদের বিনোদনের জন্য এলাহি আয়োজন। রাখা হয়েছে দামী টেলিভিশন সেট, বাংলা তিনটি খবরের কাগজ, এমনকি পুরুষ ও মহিলাদের দু’টি আলাদা ফ্লোরে আলাদা আলাদা মিউজিক সিস্টেম। মহকুমাশাসক সুকান্ত সাহা জানিয়েছেন, করোনায় শুধু শরীর নয়, মনের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি প্রয়োজন। পরিবার পরিজন ছেড়ে এসে কোনওভাবেই যাতে রোগীর মন ভারাক্রান্ত না হয়ে পড়ে তারজন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা। রোগীদের সুস্বাদু খাবার-দাবারেরও বন্দোবস্ত রয়েছে সেখানে। মঙ্গলবারই দু’জন রোগী ওই সেফ হোমে ভরতি হন।