প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে সোমবারই রাজ্যের বকেয়া জিএসটি-র টাকা চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু রাজ্যগুলিকে বকেয়া জিএসটি মেটানোর বিষয়ে কার্যত হাত তুলে দিল কেন্দ্র৷ বুধবার সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সচিব অজয় ভূষণ পাণ্ডে জানিয়ে দিলেন, রাজ্যগুলিকে বকেয়া জিএসটি মেটানোর মতো অবস্থায় এখন নেই কেন্দ্র৷
জিএসটি বাবদ কেন্দ্রীয় সরকার যে আয় করে, তার একটি অংশ নিয়মমতো রাজ্যগুলির প্রাপ্য। কিন্তু কোভিড অতিমহামারীর প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের সর্থসচিব অজয়ভূষণ পাণ্ডে সাফ জানিয়ে দিলেন, রাজ্যগুলিকে জিএসটি-র প্রাপ্য টাকা দেওয়া সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার অর্থসচিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়, অতিমহামারীর সময় কী পরিমাণ রাজস্ব আদায় করেছে কেন্দ্রীয় সরকার? এর উত্তরে তিনি বলেন, যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে তা থেকে রাজ্যগুলিকে ভাগ দেওয়া সম্ভব নয়।
অজয়ভূষণ পাণ্ডেকে প্রশ্ন করা হয়, জিএসটি বিধি ভেঙে কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে প্রাপ্য অংশ থেকে বঞ্চিত করতে পারে? তিনি বলেন, ‘জিএসটি আইনেই আছে, রাজস্ব আদায় কম হলে তা ভাগাভাগির ফর্মুলাও বদলে যেতে পারে।’ সোমবার অর্থমন্ত্রক থেকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ সালের আর্থিক বছরে যে রাজস্ব আদায় হয়েছিল, তা থেকে রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়েছে ১৩ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা।
রাজ্যগুলিকে বকেয়া জিএসটি দেওয়া নিয়ে জুলাইয়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল জিএসটি কাউন্সিলের৷ কিন্তু এখনও সেই বৈঠক হয়নি৷ এ দিন স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি, অম্বিকা সোনি, গৌরব গগৈ ও এনসিপি সাংসদ প্রফুল প্যাটেল দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অবলিম্বে আলোচনার দাবি করেন৷