শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামী ১৯ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে করা মামলা প্রত্যাহার করে নিলেন রাজস্থানের স্পিকার সিপি যোশী। জয়পুর হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন স্পিকার। কিন্তু সোমবার স্পিকারের হয়ে মামলা প্রত্যাহার করতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেন কপিল সিব্বল।
যদিও মামলা যে প্রত্যাহার করা হতে পারে সেই আন্দাজ আগেই পাওয়া গিয়েছিল। তার কারণ, রাজনৈতিক এই টানাপোড়েন আদালতের চৌহদ্দিতে যাক তা চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট শিবিরের অনেক বিধায়কও। তাঁদের বক্তব্য, পুরো বিষয়টি রাজনৈতিক ভাবেই ফয়সালা হোক।
সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিআর গাভাই ও কৃষ্ণ মুরারীর বেঞ্চের কাছে স্পিকারের পিটিশনের প্রস্তাব প্রত্যাহারের অনুমোদন দেওয়ার আর্জি জানান শীর্ষ আইনজীবী কপিল সিব্বল ও আইনজীবী সুনীল ফার্নান্ডেজ। সিব্বল এ দিন বলেন, ‘হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানছে না, এটা দুর্ভাগ্যজনক। এটা আমাদের কাছে দুঃখজনক। প্রত্যাহার করার অর্থ এই নয় যে, এ বিষয়টি আমরা আর তুলব না।’
রাজস্থান বিধানসভার কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে দু’দিন হাজির ছিলেন না শচীন ও তাঁর শিবিরের ১৯ বিধায়ক। তারপরই তাঁদের নোটিস ধরান স্পিকার। জানতে চাওয়া হয়, কেন তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ করা হবে না? স্পিকারের দেওয়া ওই নোটিস নিয়ে সোজা জয়পুর আদালতে চলে যান শচীন। তাঁর ও তাঁদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি।
বিধায়কপদ খারিজের নোটিসে স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। স্পষ্ট বলা হয়, এখন কোনও ভাবেই শচীন ও ওন্য ১৯ বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজ করা যাবে না। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান স্পিকার। শীর্ষ আদালতও প্রায় একই কথা বলে। সিঙ্গল বেঞ্চকে চ্যালেঞ্জ করে ফের ডিভিশন বেঞ্চে যান স্পিকার। এদিন সেই মামলাই প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি।