করোনা সংক্রমণ বাংলায় ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় উপসর্গ নেই এমন রোগী বা হাল্কা উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের ‘সেফ হোম’-এ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কয়েকদিন আগেই রাজ্যের এই ‘সেফ হোম’-কে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌরা। শুক্রবার এক ধাপ এগিয়ে দেশের চিকিৎসা সংক্রান্ত সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ‘আইসিএমআর’-এর ডিরেক্টর জেনারেল ডা. বলরাম ভার্গব জানিয়ে দিলেন, কোভিড মোকাবিলায় বাংলার ‘সেফ হোম’ গোটা দেশের মডেল হওয়া উচিত।
শুক্রবার বলরাম ভার্গব-সহ আইসিএমআর-এর অন্য শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তাদের দীর্ঘসময় ভিডিও কনফারেন্সে হয়। সেখানেই আইসিএমআর-এর প্রধান রাজ্যের সেফ হোম ব্যবস্থার উচ্ছসিত প্রশংসা করেন। ভিডিও কনফারেন্সের পর রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘আজকের বৈঠকে রাজ্যের সেফ হোম ব্যবস্থার উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল ডা বলরাম ভার্গব নিজে। তাঁর সঙ্গে অন্য আধিকারিকরাও সেফ হোমের প্রশংসা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য অন্য রাজ্যগুলির কাছে মডেল হতে পারে এই ব্যবস্থা। অন্য রাজ্যগুলির কাছে এই ব্যবস্থা কার্যকর করতে প্রস্তাব দেবে আইসিএমআর।’
অজয় চক্রবর্তীর কথায়, কোভিড হাসপাতালগুলির ওপর চাপ কমাতে সেফ হোম চালু করা হয়েছে। টেলিফোনে উপসর্গহীন কোভিড পজিটিভ ব্যক্তির দেখভাল করা এবং দরকারে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা থাকছে সেফ হোম ব্যবস্থায়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌরা। ওই বৈঠকে বাংলার মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা সেফ হোমের কথা জানান। কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় ৬ হাজার ৯০৮ শয্যার ১০৬টি ‘সেফ হোম’ তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে ‘সেফ হোম’ যে অত্যন্ত কার্যকরী তা স্বীকার করে নেন রাজীব গৌরা। ইতিমধ্যেই বাংলার ‘সেফ হোম’ মডেল অনুসরণ করে উপকৃত হয়েছে রাজস্থানও।