একেই দেশ জুড়ে করোনার প্রকোপ। তার মধ্যেই ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে বিহারের বন্যা পরিস্থিতি। ইতিধ্যেই জলে ডুবে গিয়েছে ১০টি জেলা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৭.৬৫ লক্ষ মানুষ। ভেঙে গিয়েছে রাস্তাঘাট। বেশ কিছু এলাকায় ব্যাহত রয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা।নেই মোবাইল নেটওয়ার্কও। জলমগ্ন হয়েছে অসংখ্য চাষের জমি।
ভরা বর্ষার মরশুমে এ ভাবে ভারী থেকে অতি ভারী টানা বর্ষণের জেরে গন্ডক, কোশি-সহ একাধিক নদীতে লাগামছাড়া ভাবে বেড়েছে জলের মাত্রা। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে বিহারের অধিকাংশ নদী। পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারণ, সীতামারী, সেওহার, সুপাল, কৃষ্ণগঞ্জ, দ্বারভাঙা, মুজফফরপুর, খাগরিয়া এবং গোপালগঞ্জ—এই সব জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্যার ফলে।
আইএমডি জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আসাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, বিহার, পঞ্জাব, দিল্লি, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশ-সহ উত্তর, পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে চলতি সপ্তাহে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিহারের জলমগ্ন এলাকাগুলি থেকে এখনও পর্যন্ত ৩৬,৪৪৮ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের ত্রাণ শিবিরে পাঠানো হয়েছে। ২৮টি ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন প্রায় ১৪ হাজার মানুষ। ১৯২টি কমিউনিটি কিচেনে ৮০ হাজারের কাছাকাছি মানুষদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এনডিআরএফের ১৩টি টিমের সঙ্গে রাজ্যের ৮টি দল প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে।