‘এলগার পরিষদ’ মামলায় অভিযুক্ত বিশিষ্ট লেখক-কবি-সমাজকর্মী ভারভারা রাও ২০১৮ সাল থেকে নভি মুম্বইয়ের তালোজা সেন্ট্রাল জেলে বন্দী রয়েছেন। গত সপ্তাহে খবর মিলেছিল সেখানেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। ৮০ বছর বয়সী এই সমাজ কর্মীর শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অবিলম্বে প্রবীণ এই কবির মুক্তির দাবিও জানানো হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে তাঁর উপযুক্ত চিকিৎসার আর্জি জানিয়েছেন দেশের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম।
কবি ভারভারা রাও-এর স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে সম্প্রতি সরব হয়েছিল তাঁর পরিবার। সেই প্রেক্ষিতেই এক টুইটে চিদম্বরম লেখেন, ‘ওনার পরিবার এর তরফ এ যে দাবি করা হচ্ছে তা নিশ্চিত ভাবেই অত্যন্ত উদ্বেগজনক একটি বিষয়। এটা বিশ্বাস করা কষ্টকর নয় যে রাজ্য পুলিশ জেলা তারিখ এবং এনএইচআরসির তরফে এই ধরনের অমানবিক ব্যবহার অস্বাভাবিক কিছু নয়।’ এর পাশাপাশি তিনি আরও লেখেন, ‘শ্রী ভারাভারা রাওকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক। এবং দ্রুত তাকে কোনও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হোক। যেখানে উনি সঠিক চিকিৎসাটা পাবেন।’
প্রসঙ্গত, আদালতের শুনানিতে বৃদ্ধ কোভিড শারীরিক সঙ্কটের কথা জানানো হয়েছিল বিচারপতির কাছে। এমনকী এটাও জানানো হয়েছিল তিনি করোনা আক্রান্ত এমনটা সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে সে আরজি কানে তোলেনি আদালত। পরিবারের তরফে জানানো হয় জামিন তো দূরের কথা ন্যূনতম চিকিৎসা টাও করানো হচ্ছে না তাকে। বারবার আবেদনের পর মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কবিকে। সেখানে তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে এরপর সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার। যদিও চিকিৎসায় গাফিলতি হচ্ছে বলে শুরু থেকেই অভিযোগ তুলেছে তাঁর পরিবার। তাঁর স্ত্রী হেমলতার অভিযোগ, রাষ্ট্র চাইছে তাঁকে জেলের মধ্যেই হত্যা করতে।