বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে যেমন দিনের পর দিন আরও বেলাগাম হয়ে উঠছে করোনা ভাইরাস, ঠিক তেমনই কোভিড-১৯ চিকিৎসায় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধেও অত্যন্ত বেশি বিলের অভিযোগ উঠছে। এবার যেমন কাঠগড়ায় রাজ্যের এক বেসরকারি হাসপাতাল। সেই হাসপাতালে একজন করোনা সন্দেহভাজন রোগীর দশদিনের চিকিৎসার খরচ বলা হয়েছে ৯ লাখ টাকা। আর তা নিয়েই বিতর্ক। সন্দেহভাজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর ওই বিলটি এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেই বিলের কথা প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি ওই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। কর্ণাটকের মেডিক্যাল শিক্ষামন্ত্রী কে সুধাকর এবং হেল্থ কমিশনার পঙ্কজকুমার পাণ্ডে সাংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত বেসরকারি হাসপাতালটির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টুইটারে পোস্ট হওয়া সেই ভাইরাল বিলটিতে দেখা যাচ্ছে, চিকিৎসার খরচ বাবদ হাসপাতাল ৯ লাখ ৯ হাজার টাকা দাবি করেছে রোগীর পরিবারের থেকে। বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকার ওই হাসপাতাল এই বিল ধরিয়েছে করোনাভাইরাস সন্দেহে আসা এক রোগীর ১০ দিনের চিকিৎসার জন্য। ওই বিলে দেখা যাচ্ছে ভেন্টিলেটর বাবদ খরচ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। অথচ কর্নাটক সরকারের বেঁধে দেওয়া রেট অনুযায়ী ভেন্টিলেটর পরিষেবা-সহ কোনও আইসিইউ বাবদ দিনে ২৫ হাজার টাকার বেশি কোনও হাসপাতাল নিতে পারে না। এই প্রসঙ্গে কর্ণাটকের মেডিক্যাল শিক্ষামন্ত্রী সুধাকর সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া রেটের চেয়ে বেশি টাকা যদি কোনও হাসপাতাল নিয়ে থাকে, তবে সেটা খুবই গুরুতর অভিযোগ।