দলবিরোধী কার্যকলাপ ও সরকারকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজস্থানের বাগী কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলটকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করল কংগ্রেস। এখানেই শেষ নয়। রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতির পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শচীন পাইলটকে। মঙ্গলবার জয়পুরে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকের পর এই খবর জানিয়েছেন দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা।
সোমবারই পাইলট-সহ ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাবনা পাশ হয় জয়পুরে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে। ওই বৈঠকে ফের রাজস্থানের পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচিত হন গেহলট। তার পরেই পাইলটকে সরানোর সিদ্ধান্ত হয়। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করার মতো কঠোর সিদ্ধান্তের পথেও কংগ্রেস হাইকম্যান্ড হাঁটতে পারে বলে দলীয় সূত্রে খবর। একই সঙ্গে পাইলটের সঙ্গী দুই মন্ত্রী রমেশ মিনা ও বিশ্বেন্দ্র সিংহকেও মন্ত্রীপদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক শেষেই এদিন হোটেল থেকে বেরিয়ে সোজা রাজভবনে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের কাছে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে শচীন পাইলট ও মন্ত্রীপদ থেকে বিশ্বেন্দ্র সিংহকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করবেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে দাবি করে প্রয়োজনে সমর্থক বিধায়কদের রাজভবনে হাজির করারও প্রস্তাব দেবেন। যদি রাজ্যপাল তাতে রাজি না হন, তাহলে বিধানসভায় সংক্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে তৈরি আছেন বলেও জানিয়ে দেবেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, বিদ্রোহী নেতা শচীন পাইলটকে কিছুতেই আর দলে ধরে রাখা যাবে না বুঝতে পেরেই এদিন চরম পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। বৈঠকে উপস্থিত ১০২ বিধায়ক উপস্থিত থাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে অসুবিধা হবে না বুঝতে পেরেই বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে কঠোর পথে হেঁটেছে কংগ্রেস।