আগামী মাস থেকেই পৌঁছে যাবে ‘আপনার দরজায় কলকাতা পুরসভা’। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সাহায্যার্থে এই বিশেষ পরিষেবা আনছে কলকাতা পুরসভা। পুর পরিষেবা সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগ বা কোনো দাবি থাকলে জানানো যাবে এই শিবিরে। এছাড়াও কর সংগ্রহ, কর মূল্যায়ন, নতুন কর ব্যবস্থায় নথিভুক্তকরণ, মিউটেশন সার্টিফিকেট শহরবাসীর সুবিধার্থে বিভিন্ন ওয়ার্ডে শিবির করে সংগ্রহ করা হবে।
করোনার জেরে বিশেষ করে অসুবিধায় পড়ছেন বয়স্ক নাগরিকেরা। করোনা আতঙ্কে ভুগছেন অনেকেই। অন্য দিকে পুরসভার কর আদায়েও ঘাটতি হচ্ছে। সে কথা মাথায় রেখে এ বার পুরসভার নতুন উদ্যোগ ‘কেএমসি অ্যাট ডোর স্টেপ’। পুরসভার অফিসে গিয়ে আর বসে থাকতে হবে না, উল্টে আপনারই বাড়ির দরজায় পৌঁছবে কলকাতা পুরসভা। এ বার থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে ক্যাম্প করে নাগরিকদের সমস্যা সমাধান করবেন পুর আধিকারিকেরা।
পুরসভা সূত্রে খবর, আগামী ৮ অগস্ট ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শুরু হচ্ছে ‘কেএমসি অ্যাট ডোর স্টেপ’-এর পথ চলা। ২২ অগস্ট ৫৮ ওয়ার্ডে এবং ২৯ হবে ৮২ ওয়ার্ডে হবে ক্যাম্প। এর পর কলকাতা পুরসভার সব ওয়ার্ডেই বসবে ক্যাম্প। আগে থেকেই মাইকে প্রচার করে জানিয়ে দেওয়া হবে। অথবা প্রতিটি ওয়ার্ডের কোয়ার্ডিনেটররাও জানিয়ে দেবেন, কবে ক্যাম্প কোথায় বসবে। ফিরহাদ হাকিম জানান, মানুষকে পুরসভার অফিসে আসতে হবে না। ক্যাম্পের পর ধীরে ধীরে সব কিছুই অন-লাইনে পরিষেবা মিলবে।
এতে এক দিকে যেমন নাগরিকদের সুবিধা হবে, তেমনই কর আদায়েও গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বলেন, “মানুষের দরবারে যাবে পুরসভা। ক্যাম্প করা হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে এসে তাঁদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন।”
ফিরহাদ হাকিম আরও জানান, ‘’শুধু কর সংক্রান্ত কাজ নয়, পুর পরিষেবা সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগ বা এলাকাবাসীর কোনো দাবি থাকলে তাও তারা ওই শিবিরে জানাতে পারবেন। এই শিবিরগুলিতে উপস্থিত থাকবেন তিনি নিজে। কোন কোন শিবিরে পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। প্রতিটি শিবিরেই স্থানীয় বোরো এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।’’