একদিকে করোনা প্রতিরোধ, অন্যদিকে বাংলার প্রচার, এই দুই কার্যসিদ্ধির উদ্দেশ্যে রাজ্যবাসীর জন্য নতুন করে ত্রিস্তরীয় অর্থাৎ ৩ পরতের তিন কোটি মাস্ক বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়। মাস্ক তৈরির এই কাজের মধ্যে দিয়ে গ্রামীণ এলাকার ১৫-২০ হাজার প্রান্তিক মানুষ পাবেন রোজগারের সুযোগ। বিপর্যয়ের এই পর্বে বাড়বে নগদ জোগান। চাঙা হবে রাজ্যের অর্থনীতি।
জানা গিয়েছে, মাস্কের নীচে লেখা থাকবে বাংলা সরকারের প্রতীক থাকবে। ইতিমধ্যেই মাস্কের ক্যাচলাইনও লিখে ফেলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, সরকারের উদ্যোগে সম্পূর্ণ ফেব্রিকের তৈরি এই ত্রিস্তরীয় মাস্কের ওপর লেখা থাকবে ‘বাংলা আমার মা’। প্রথমে ৩ কোটি ,পরে রাজ্যের সবাইকে এই মাস্ক দেবে রাজ্য। নামকরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে।
সূত্রের দাবি, লকডাউনের তিন মাসে ইতিমধ্যেই ১০০ দিনের কাজে ১১.৫৩ কোটি কর্মদিবস তৈরি হয়েছে। এবার মাস্ক তৈরির এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে আরও প্রায় দেড় কোটি কর্মদিবস তৈরি করাটাই টিম মমতার টার্গেট।
এমএসএমই দফতরের ডিরেক্টর অনুরাগ শ্রীবাস্তবের কথায়, ‘এ হেন বিরাট কর্মযজ্ঞের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা গর্বিত। গোটা দেশের মধ্যে, বাংলাই প্রথম রাজ্য, যারা এরকম বিরাট উদ্যোগ নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ৩ কোটি মাস্ক তৈরির এই কাজ শুরু করেছি আমরা। বিপর্যয়ের এই পর্বে গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের রোজগারের মাধ্যম হবে এই প্রক্রিয়া।’