শিলিগুড়ির প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। শোক আর আতঙ্কে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে দুপুরে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন মৃতের স্ত্রী। রেল পুলিশের তৎপরতায় গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁরা উদ্ধার হয়েছেন। প্রথমে মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে তিনজনকে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আপাতত আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁরা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, মৃত শিক্ষক শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রধাননগরের নিবেদিতা রোডের বাসিন্দা। শুক্রবার অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে পরিবারের সদস্যরা শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভরতি করেন। এরপর তাঁর লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠালে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি হৃদরোগেও আক্রান্ত ছিলেন।
এরপর বাড়ি থেকে চুপিসাড়ে পাঁচ ও দু’বছরের দুই মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে যান মৃতের স্ত্রী। চলে যান এনজেপি স্টেশনে। দুপুর ১ টা ৪২ মিনিটে নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে ডাউন আগরতলা-দিল্লী এক্সপ্রেস ট্রেনের সামনে শিশুদের নিয়ে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে স্ত্রী। তবে বরাতজোরে বেঁচে যায় দুই শিশু-সহ তিনজনই।
ঘটনার খবর পৌঁছয় পর্যটন মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দেবের কাছে। তিনি বলেন, “খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমি মনিটরিং করছি। প্রয়োজনে বাইরে থেকে চিকিৎসক এনে এঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।”