করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে প্রায় ৪ মাস পর অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে ইংল্যান্ডে। আগামীকাল সাউদাম্পটনে ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম টেস্ট দিয়ে ফের শুরু হবে ব্যাট-বলের লড়াই। যা নিয়ে কৌতূহল ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ক্রিকেট দুনিয়ায়। গত ১৩ মার্চ শেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছিল ফাঁকা স্টেডিয়ামে। সিডনিতে ওয়ান ডে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া হারায় নিউজিল্যান্ডকে। তখন সবে ছড়াতে শুরু করেছে করোনার প্রকোপ। কিন্তু অনেকেই তখন বুঝতে পারেনি, এমন দীর্ঘ বিচ্ছেদে থাকতে হবে ক্রিকেটের সঙ্গে।
বুধবার থেকে যে টেস্ট শুরু হতে যাচ্ছে, তা এক কথায় নজিরবিহীন। ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ধারাভাষ্যকার, কর্তা, সকলকেই রাখা হচ্ছে সাউদাম্পটনের মাঠে সুরক্ষিত বলয়ের মধ্যে। মাঠের মধ্যেই রয়েছে হোটেল। সেখানেই থাকবেন ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার, সকলে। যার অর্থ, ম্যাচে যাঁরা থাকবেন, সকলে এক বার এই বলয়ে ঢুকে পড়লে আর বেরোতে পারবেন না। ক্রিকেটারেরা আগেই সেখানে ঢুকে পড়েছেন, ধারাভাষ্যকারদেরও বলে দেওয়া হয়েছে, আজ, মঙ্গলবারের মধ্যে সেখানে
ঢুকে পড়তে হবে।
যেমন বিখ্যাত ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেন এদিন জানিয়েছেন, কমেন্ট্রি বক্সেও তাঁরা বসবেন শারীরিক দূরত্বের নিয়ম মেনেই। ধারাভাষ্যকারদেরও একই হোটেলে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। কমেন্ট্রিতে বিরতির ফাঁকে তাঁরা নিজেদের হোটেল রুমে ফিরে গিয়ে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে খেলা দেখতে পারেন। সাউদাম্পটনের মাঠটির ভিতরে যে হোটেল রয়েছে, তা একদম বাউন্ডারি লাইনের লাগায়ো। হোটেলের বিশেষ কয়েকটি ঘরের ব্যালকনি থেকে সুন্দর ভাবে ম্যাচ দেখা যায়।
এ ভাবে কি সত্যিই ক্রিকেট উপভোগ করা সম্ভব? কোনও দর্শকই যদি না থাকে, তাহলে খেলা চলবে কাদের জন্য? এই টেস্টের অন্যতম ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেন স্বীকার করেছেন, এটা অবশ্যই আদর্শ পরিস্থিতি নয়। ‘‘নিশ্চয়ই এ ভাবে কেউ খেলা আয়োজন করতে চায় না। কিন্তু এটা ভেবে অন্তত শান্তি পাচ্ছি যে, ক্রিকেট ফিরছে। ফুটবলের মতোই তা হয়তো ফাঁকা মাঠে হবে, থাকবে না কোনও দর্শক, কিন্তু ক্রিকেট ভক্তরা বাড়িতে বসে টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার দেখতে পাবে। লাইভ ক্রিকেট তো দেখা যাবে।’’