উড়িষ্যার একটি ক্যান্সার হাসপাতালে পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ানক৷ হাসপাতালের রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী, অ্যাটেনডেন্ট-সহ ১০০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন৷ গত দশদিনে একেবারে একধাক্কায় ১০০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে৷
দ্য আচার্য হরিহর রিজিওনাল ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার এই মুহূর্তে সিল করে দেওয়া হয়েছে৷ স্যানেটাইজেশনের কাজ শুরু হয়েছে৷ এদিকে এই ক্যান্সার হাসপাতালে কী করে এই মারণ রোগের মারাত্মক সংক্রমণ হল তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ কটকের জেলা কালেক্টর জানিয়েছেন পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷ যে কোনও গাফিলতি খুঁজে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
ক্যান্সার রোগী, যাদের এই হাসপাতালে চিকিৎসা হয়, তাদের সঠিক যত্ন নেওয়া হয় না এমন অভিযোগ উঠেছে রোগী ও তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে৷ তাঁরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন ক্যান্সার হাসপাতালে এই মারণ রোগ ছড়িয়ে পড়ার জন্য৷
এক রোগী জানিয়েছেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা এবং অপেশাদার মনোভাবের জেরেই এইভাবে এক রোগী থেকে অন্য রোগীতে এই মারণ করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে৷’ পুলিশ জানিয়েছে, কিছু করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে শনিবার বাসে করে ভুবনেশ্বরের কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ কটকের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ জানিয়েছেন, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশের বিশেষ দল রওনা দেয়৷ তাদের দাবি, পরিস্থিতি এখন আয়ত্তের মধ্যে৷
পুলিশ পাইলট কার নিয়ে সেখান থেকে কোভিড ১৯ আক্রান্তদের নিয়ে ভুবনেশ্বরের হাসপাতালে যাওয়া হয়৷ শহরে যেখানে প্রাথমিকভাবে মাত্র ১৯০ জন কোভিড-১৯ আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল৷ যার মধ্যে ১৪৪ জন শেষ তিনদিনে পাওয়া গেছে৷ যাদের বেশিরভাগই ওই ক্যান্সার হাসপাতালের রোগী৷ পুরসভা জানিয়েছে, বুধবার অবধি পুর এলাকা শাটডাউন করে দেওয়া হয়েছে। এই শাটডাউন আরও বাড়বে যদি না কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে সম্ভাব্যদের খুঁজে না পাওয়া যায়৷