দীর্ঘ কয়েক বছর একটানা আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডেভিলিয়ার্স। যেখানে তাঁর সতীর্থ হিসাবে পেয়েছিলেন বিরাট কোহলিকে। যার ফলে তাঁর সঙ্গে গভীর বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে ডেভিলিয়ার্সের। তাঁদের মধ্যে বোঝাপড়া এতটাই ভাল যে, নিজের চেয়েও বিরাটের দক্ষতায় বেশি ভরসা করেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা। দীর্ঘদিন একই দলে খেলার ফলে টেকনিকের দিক থেকেও একে অন্যকে সাহায্য করেন। যেমন এবির থেকে শর্ট বলের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার শিক্ষা কিছুটা হলেও পেয়েছেন বিরাট। তেমনই ভারতীয় অধিনায়কের স্পিন খেলার কৌশল বেশ কিছুটা রপ্ত করেছেন ডেভিলিয়ার্স। আরসিবি-র বেশির ভাগ জয়ের নেপথ্যে এই জুটির অবদান অনস্বীকার্য।
এইসব কথা বলার মাঝেই গতকাল এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটে তাঁর অন্যতম প্রিয় সতীর্থ বিরাটের প্রশংসা করেন ডেভিলিয়ার্স। তাঁদের মধ্যে কী করে এত বোঝাপড়া? দু’জনের ব্যাটিং ভঙ্গি আলাদা হলেও কী করে একে অপরকে সাহায্য করেন? নিজেদের মধ্যে টেকনিকে কী পরিবর্তন করেছেন? সব নিয়েই মুখ খুললেন ‘মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি’। ডেভিলিয়ার্স বলেছেন, ‘‘আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভাল। কোন বোলারকে কে আক্রমণ করব, আগে থেকেই ঠিক করে নিই। সাধারণত আমিই দ্রুত আক্রমণ করি। শুরু থেকেই বিপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করি। যাতে ওরা বুঝতে পারে, আর পাঁচ ওভার ক্রিজে থাকলে সমস্যা তৈরি করতে পারি।’’ যোগ করেন, ‘‘বিরাট অন্য দিকে অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য। তুমি চাইবে, ও যেন ১৫ ওভার ব্যাট করে দেয়। তাই আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া এত ভাল। আমি মুহূর্তের মধ্যে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পছন্দ করি। কিন্তু বিরাট ম্যাচ শেষ করে আসে।’’
টি-২০ ক্রিকেটে একমাত্র দ্বি-শতরানের জুটি গড়েছেন কোহলি ও ডেভিলিয়ার্স। মোট ৬৯ ইনিংসে ন’বারের উপরে শতরানের জুটি রয়েছে তাঁদের। জাহির খান জানিয়েছিলেন, বিরাট ও ডেভিলিয়ার্স একে অন্যের টেকনিক উন্নতি করার চেষ্টাও করেছেন। সেই তথ্যে স্বীকার করে ডেভিলিয়ার্স বলেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলার সুবাদে শর্ট বলের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে আমার সমস্যা হয় না। স্পিনে কিছুটা হলেও সমস্যা হত। অন্য দিকে বিরাট সাবলীল ভাবে স্পিন খেলত। কিন্তু খাটো লেংথের ডেলিভারির বিরুদ্ধে সমস্যায় পড়ত। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এই টেকনিক শোধরানোর চেষ্টা করি।’’
ভারতীয় অধিনায়ককে পুল শট রপ্ত করিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা। তাঁর কথায়, ‘‘খাটো লেংথের বল যদি গতির সঙ্গে ব্যাটসম্যানের দিকে ধেয়ে আসে, সে ক্ষেত্রে পুল মারার বেশি সময় পাওয়া যায় না। ব্যাটসম্যানকে যদিও সময় বার করতে হয়। পুল জোরে মারার প্রয়োজন নেই। খাটো লেংথের বলের বিরুদ্ধে বাহু প্রসারিত করে বলের উপরে কব্জির মোচড়ের সাহায্যে ব্যাট ঘোরাতে হয়। তা হলে অনায়াসে মারা যায় এই শট। বিরাট এখন সাবলীল ভাবে পুল মারতে পারে। গত কয়েক বছরে আরও উন্নতি করেছে।’’